দেশে এই প্রথম এমন ছবি। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
পরিচালক-নায়ক, সে-ও তো অনবদ্য রসায়ন হতে পারে। ‘কমান্ডো ৩’-এর পর আবার জুটি বাঁধছেন অভিনেতা বিদ্যুৎ জামবাল এবং পরিচালক আদিত্য দত্ত। তাঁদের একসঙ্গে কাজ মানেই সিনেমা সুপারহিট, দর্শকরা এমনই ভাবেন। এ বার আরও এক ধাপ এগিয়ে ছবির প্রযোজনারও দায়িত্ব নিয়ে ফেলেছেন বিদ্যুৎ। শোনা যাচ্ছে, আগামী বছরই আসতে চলেছে ‘ক্র্যাক’। টানটান উত্তেজনা এবং ঝুঁকিতে ভরপুর খেলাধুলো (এক্সট্রিম স্পোর্টস) এবং অ্যাকশন নিয়ে এমন ছবি নাকি দেশে এই প্রথম!
বিদ্যুৎ ছাড়াও ছবিতে রয়েছেন অন্যান্য তারকা। দুঃসময় কাটিয়ে এই ছবির জন্য কাজে ফিরছেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। অর্জুন রামপালের বিপরীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে। চিত্রনাট্য লিখেছেন পরিচালক আদিত্যই। যার শুরু থেকে শেষ অবধি চমক। নায়ক মুম্বইয়ের বস্তির বাসিন্দা। সেখান থেকে যাত্রা শুরু করে কী ভাবে সে এক্সট্রিম স্পোর্টসের চরম দুনিয়ায় প্রবেশ করে— তা নিয়েই গল্প এগোয়। অন্যতম সেরা অ্যাকশন তারকা বিদ্যুতকে বিপজ্জনক খেলার স্টান্ট এবং অ্যাকশন সিকোয়েন্স করতে দেখা যাবে।
অভিনেতা-প্রযোজক বিদ্যুৎ বলেছেন, “সময় বদলেছে। দর্শকের রুচিও। এত দিন আমার মনে হত, যিনি যে কাজটা করেন, নিজেই তার মধ্যে একটা সীমারেখা বেঁধে দেন। স্বাভাবিক ভাবেই কাজে সেটা প্রকাশ পায়। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। এখন আর কোথাও কোনও সীমাবদ্ধতা নেই। মালভূমি ছাপিয়ে পর্বতপ্রমাণ হতে হবে। খেলাধূলো নিয়ে ভারত থেকে এমন ছবি এই প্রথম।”
পরিচালক আদিত্য দত্ত বলেছেন, “২০১২ সালে ‘টেবিল নং ২১’-এর সাফল্যের পরে আমাকে বলা হয়েছিল সিনেমাটি সময়ের তুলনায় অনেক এগিয়ে। আমার ধারণা, তাঁরা এখনকার সময়ের কথা বলছিলেন। সময়টা সত্যিই পরিবর্তিত হয়েছে। ‘ক্র্যাক’ এমন এক স্ক্রিপ্ট যা নিয়ে আমি গত চার বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছি। বিষয়টি এগিয়ে নিতে এবং নিজেকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য এমন এক গল্প বলেছি যেখানে স্পোর্টস, গেমিং-এর মতো খেলার জগৎ অ্যাকশন, নাটকীয়তা এবং রোমাঞ্চে মিশে গিয়েছে।”
অন্য দিকে জ্যাকলিন আর অর্জুন জানান, চিত্রনাট্য পড়েই মুগ্ধ হয়েছিলেন। আদিত্য আর বিদ্যুতের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে এত কিছু শিখছেন যে হিসাব নেই! সূত্রের খবর, সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছে পোল্যান্ডে। ২০২৩ সালে মুক্তি পাবে ‘ক্র্যাক’।