তাঁদের আটক থেকে গ্রেফতার হওয়ার মধ্যেও অনেকেই মিল পাচ্ছেন বিস্তর।
দু’জনের গ্রেফতারের মধ্যে ফারাক মোটামুটি এক বছরের। রিয়া চক্রবর্তী এবং আরিয়ান খান। দু’জনের বিরুদ্ধেই মাদক সংগ্রহ এবং সেবনের অভিযোগ। তাঁদের আটক থেকে গ্রেফতার হওয়ার মধ্যেও অনেকেই মিল পাচ্ছেন বিস্তর। আর সবচেয়ে বড় মিল যেখানে— দুই ক্ষেত্রেই বহু তথ্য উঠে এসেছে অভিযুক্তদের হোয়াটসঅ্যাপ থেকে।
গত বছর সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। ৮ সেপ্টেম্বর বাইকুল্লা জেলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তার পরে ৭ অক্টোবর জামিনে মুক্তি। প্রাথমিক ভাবে রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট খতিয়ে দেখে তাঁকে হেফাজতে নিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
এনসিবি-র দাবি, রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন থেকে বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছিল। জানা গিয়েছিল— মডেল-অভিনেত্রী শুধু নিজেই মাদক নেন, এমন নয়। সুশান্তকেও মাদক জোগান দিতেন তিনি। একটি মাদক চক্রের সঙ্গেও নাকি যোগাযোগ ছিল তাঁর।
চলতি বছরের অক্টোবরে একটি প্রমোদতরীর পার্টি থেকে আরিয়ানকে আটক করে এনসিবি। তদন্তকারীদের অনুমান, শাহরুখ-পুত্রও কোনও আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের সঙ্গে জড়িত। বন্ধু আরবাজ শেঠ মার্চেন্টের সঙ্গেও মাদক নিয়ে একাধিক বার কথাও হয় তাঁর। রিয়ার মতোই আরিয়ানের হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন ঘেঁটেই এ ধরনের তথ্য তুলে আনে এনসিবি।
রিয়া এবং আরিয়ান— দুই ক্ষেত্রেই এনসিবি-র মূল অস্ত্র অভিযুক্তদের হোয়াটসঅ্যাপের কথোপকথন। জানা গিয়েছে, দু’জনের কাছ থেকেই কোনও নিষিদ্ধ মাদক মেলেনি। হোয়াটসঅ্যাপে কথাবার্তার উপর নির্ভর করেই মাদক বিক্রেতাদের সঙ্গে তাঁদের যোগসূত্র খুঁজে বার করার চেষ্টা করে এনসিবি। ২৮ দিন জেলে থাকার পর ছাড়া পেয়েছিলেন রিয়া। কিন্তু আরিয়ানের ক্ষেত্রে জামিনের আবেদন একাধিক বার খারিজ হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। আপাতত আর্থার রোড জেলেই দিন কাটছে তাঁর।