মাত্র পাঁচ বছরের কেরিয়ার। তাতেই নিজেকে তুলে ধরেছিলেন প্রথম সারির কৌতুকাভিনেতা হিসেবে। ছোট পর্দায় তিনি ছিলেন ‘প্রিন্স অব কমেডি’। সবাইকে হাসাতে হাসাতেই মাত্র ৪৬ বছর বয়সে চলে গিয়েছিলেন যতীন কানাকিয়া, ‘শ্রীমান শ্রীমতি’-র কেশব কুলকার্নি।
যতীনের জন্ম ১৯৫৩ সালের ২৮ জুন। অভিনয়ের কেরিয়ার শুরু হয়েছিল ১৯৯৩ সালে, গুজরাতি নাটক দিয়ে।
ছোট পর্দায় অভিনয়ের সুযোগ আসে তার পরের বছরই। দূরদর্শনের পর্দায় শুরু হয় ‘শ্রীমান শ্রীমতি’। এটাই ছিল তাঁর ছোট পর্দায় প্রথম কাজ। কিন্তু তাঁর পরিণত অভিনয় দেখে বোঝার উপায় ছিল না সেটা।
ডি ডি মেট্রোর এই শো অসম্ভব জনপ্রিয় হয়েছিল। সেখানে মধ্যবিত্ত সংসারের কর্তা কেশব কুলকার্নির ভূমিকায় ছিলেন যতীন কানাকিয়া। ধারাবাহিকের গল্পে পড়শি ফিল্মতারকার প্রতি অনুরক্ত ছিলেন কেশব।
ওই তারকার স্বামী আবার দুর্বল ছিলেন কেশবের স্ত্রীর প্রতি। এই নিয়েই এগিয়েছিল ‘শ্রীমান শ্রীমতি’-র গল্প। যতীনের স্ত্রী কোকিলার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন রীমা লাগু।
ফিল্ম তারকার চরিত্র রূপায়ণ করেন অর্চনা পূরণ সিংহ। তাঁর স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন রাকেশ বেদী। যতীন-রীমা-অর্চনা-রাকেশের অভিনয়ে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিল এই শো।
‘শ্রীমান শ্রীমতি’-র পরে ‘জারা হটকে’, ‘পড়োশন’, ‘পিছা করো’, ‘তেজস’, ‘অল দ্য বেস্ট’, ‘হম পানচ’, ‘মিসেস মাধুরী দীক্ষিত’, ‘গুদগুদি’, ‘চশমে বদ্দুর’, ‘ইয়েস বস’-সহ ধারাবাহিকে অভিনয় করেছিলেন যতীন। খুব কম সময়ে তিনি দর্শকদের কাছের কুশীলব হয়ে ওঠেন।
ছোট পর্দায় সাফল্যের সুবাদে আসে সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ। তিনি অভিনয় করেন ‘বিশ্ববিধাতা’, ‘খুবসুরত’, ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ এবং ‘ত্রিশক্তি’ ছবিতে।
সাফল্যের পাখা আরও দূরে বিস্তৃত হত। কিন্তু হতে দিল না অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার। মাত্র ৪৬ বছর বয়সে ১৯৯৯ সালে প্রয়াত হন অভিনেতা যতীন কানাকিয়া, দর্শকদের প্রিয় ‘কেশু’। হাসপাতালে আইসিইউ-তে শুয়ে যুদ্ধ করার সময়েও নাকি যতীনের ঠোঁটের কোণে লেগে থাকত এক চিলতে হাসি।
২০০১ সালে এই জনপ্রিয় কৌতুকাভিনেতাকে মরণোত্তর টেলি সম্মানে সম্মানিত করা হয়।