রোশনি তন্বী ভট্টাচার্য।
কী চেয়েছিলেন?
আমি চেয়েছিলাম টু রিচ আ হাইট। চেয়েছিলাম নিজেকে এক্সপ্লোর করতে। দেখতে চেয়েছিলাম এর বাইরে কী হয়। অনেক সময় যেমন হয় জুনিয়র আর্টিস্টদের বসার জায়গা থাকে না, গ্রিনরুম থাকে না। আমি দেখতাম যাঁরা লিড করছেন, ইম্পরট্যান্ট ক্যারেক্টার করছেন, তাঁরা ভীষণ প্যাম্পারড।
আপনি প্যাম্পারড?
না। একদম না। অতীত মনে রাখি।
হিরোইন হবেন ভেবেছিলেন?
কখনও ভাবিনি। ভাবিনি যে মেন স্ট্রিমে হিরোইন হব। বাট, ভেবেছিলাম ভাল কাজ করব, যেটা দেখে ইনস্পায়ার্ড হয়ে মানুষ কিছু শিখতে পারবে অ্যাট লিস্ট। সেটা একটা জার্নি ছিল। প্রচুর খেটেছি, প্রচুর অডিশন দিয়েছি পড়াশোনার পাশাপাশি।
আরও পড়ুন, ‘বাবাকে মুখ বন্ধ রাখতে বল, না হলে…’, অনুরাগের মেয়েকে ধর্ষণের হুমকি!
জুনিয়র আর্টিস্টদের কী বলবেন?
নিজের কাজে তৃপ্ত হয়ো না। একটা ব্রেক দিতে হবে...এক বা দেড় বছর। জুনিয়র আর্টিস্ট হিসেবে অনেকে ভয় পায় গ্যাপ দিতে। সেটা আমি দিয়েছিলাম। তার পরেও যে আমি ভাল কোনও চরিত্র পেয়েছি এমন নয়। কোনও একটা চরিত্র হয়তো পেয়েছি। কিন্তু সেটা ইম্পর্ট্যান্ট নয়। আমি যেটা চেয়েছি সেটা ওই চরিত্র করলে পাব না। তো এটাও আমার কাছে সব পেয়ে গেছি এমনও নয়। সামনে অনেকটা জার্নি বাকি। অডিশন দেওয়ার পরে...ইট ওয়াজ ইন্টারেস্টিং...সব মিলিয়ে।
জুনিয়র আর্টিস্ট হিসেবে যে ব্যবহার পেতেন এখন কি তার কিছু বদল হল?
অবশ্যই বদলেছে। আমার ক্ষেত্রে পাল্টেছে ঠিকই কিন্তু আমি কিছু ভুলিনি...আমার সেই প্রথম জার্নিটা এখনও দেখতে পাই। কিন্তু একটা জিনিস খেয়াল করি, নতুনদের সঙ্গে সবাই খুব ক্যাজুয়ালি কথা বলে...মানে ক্যাজুয়ালি খুব একটা রেসপেক্ট না করে কথাবার্তা বলা হয়।
যেমন?
আমি আলাদা করে বলতে চাই না। সেই দিনগুলো খুব নেগেটিভ ভাইবস্ দেয় আমাকে।
‘হৃদয়হরণ বিএ পাস’-এর দৃশ্য।
কী শেখালো ভাইবস্?
এখন শিখেছি যে নিজের পজিটিভ ভাইবস্ নিজে তৈরি করতে হবে। আর একটা জিনিস শিখেছি, নট টু অ্যাবজরব নেগেটিভ ভাইবস্। চারপাশে এটা হবেই। এমন কোনও কাজ নেই যেখানে নেগেটিভ ভাইবস্ থাকবে না। বাট, এড়িয়ে যেতে শিখতে হবে।
‘বামুনের চাঁদে হাত’ এ রকম কিছু শুনতে হয় এখনও?
আমি মানুষকে বোধহয় বুঝিয়ে দিতে পেরেছি যে এক জন মানুষ খুব ছোট একটা জায়গা থেকে ওপরে উঠে আসতে পারে। এক জন মানুষ সারা জীবন একই জায়গায় পড়ে থাকবে, এটা না-ও হতে পারে। তো, ছোট অবস্থা থেকে ওঠা যায়। নিজেকে ইভ্যালুয়েট করে এগিয়ে যাওয়াটাই লাইফ। মানুষও বোঝে, আমি যত খাটব তত মানুষের কাছাকাছি যাব।
আগে কোথায় থাকতেন? আর এখন?
আমি দমদমে থাকতাম। এখনও থাকি। আগেও ওখান থেকে ট্রাভেল করতাম। এখনও করি।
বাড়ির কেউ অভিনয়ে ছিলেন?
বাড়ির সবাই...আসলে আমার ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড...ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার স্পেশালি বা সার্ভিস হোল্ডার। সেখানে দাঁড়িয়ে আমি এটা করছি...আমার ঠাকুর্দা থিয়েটার করতেন (মনে পড়ে যাওয়ার ভঙ্গিতে)। কিন্তু আমি তাঁকে কোনও দিন দেখিনি।
আরও পড়ুন, কার সঙ্গে ছুটি কাটাচ্ছেন কৌশানী?
আপত্তি এসেছিল?
হ্যাঁ। প্রথমে বলত, ‘এটা হবে না। এটা করিস না। লাকের ব্যাপার।’ ফার্স্ট অব অল অনেকেই এ রকম ভাবে, মিস ইন্টারপ্রেট করে। লাকের ব্যাপার, অনিশ্চয়তা থাকে, ফিনান্সিয়াল বিষয়ে খুব প্রবলেম হয়। সে সব তো বাড়িতে বলাবলি হয়, এখনও হয়। আমি বি ফার্মা কমপ্লিট করেছি, একটা সুন্দর চাকরি করতে পারতাম যে মার্কস আমি পেয়েছিলাম। তো সেটা ছেড়ে অভিনয় করছি। বাড়ির লোকেরা তো বলবেই। (হাসি) আমি হ্যাপি যে আই লাভ টু লিভ উইথ মাই প্যাশন। হয়তো খুব সিকিওর জব, কিন্তু সেটা করে লাভ কী? আফটার অল তৃপ্তি তো পাব না। তো যেটা ভাললাগে, করে তৃপ্তি পাব, সেটাই তো আমি করব। তাই না?
প্রেমে পড়েন?
অ্যাঁ! (প্রায় আঁতকে উঠলেন)...স্ক্রিপ্টে যদি লেখা থাকে তো পড়ি। আদারওয়াইজ এখন শুধুই কাজ।
‘আমি হ্যাপি যে আই লাভ টু লিভ উইথ মাই প্যাশন।’
প্ল্যান করে পড়বেন?
প্রেম তো প্ল্যান করে পড়া যায় না। বাট আমার মনে হয়, টাইম টেকিং। এখন তো আমার কেরিয়ার পিকআপের সময়...অনেক খাটতে হবে। প্রেমে পড়ে গেলে আমি ভীষণ পজেসিভ হয়ে যাই...ভীষণ ভীষণ পজেসিভ হয়ে যাই...হা হা...প্রেমে যে পড়ে সে বোঝে। ইদানিং প্রেমে পড়তে পারি না। স্ক্রিপ্টে লেখা থাকলে পড়তে হয়...হা হা হা...
প্রেম আর কাজ ক্ল্যাশ করছে?
না না না না...সেটা নয়, সেটা নয়...সেটা মানে...আমার প্রেম হয়ে যাবে...হয়ে যাবে যখন মনের মানুষকে পাব কাছে...হি হি হি...এখন একটু বিরতি নিচ্ছি আর কি (হাসি)।
অনেক হয়ে গেছে?
হ্যাঁ। অনেক প্রেম করেছি (মুখে মৃদু হাসি)...মানে প্রেম যেগুলো করেছি...(একটু ভেবে) আমার লাস্ট প্রেম তিন বছর আগে। তার পর থেকে আমি সিঙ্গল। একটা জিনিস বুঝে গেছি যে প্রেম আর কাজ একসঙ্গে করতে পারব না। যখন আসবে প্রেম তো আসবে। প্রেম তো মিষ্টি একটা ফিলিং (সলজ্জ হাসি)। ভালবাসতে আমার দু’বছর লাগে। তাকে চিনব, তার পর ভালবাসব...এ রকম ব্যাপার আর কি (হাসি)। চট করে আমার কিছু হয় না এবং চট করে কিছু হওয়াতে আমি বিশ্বাসী নই। আমার কেরিয়ার দেখুন, জুনিয়র আর্টিস্ট থেকে সাপোর্টিং, তার পর লিড করছি। তো আমি...ভাল করে জানব বিষয়টা, তারপর...হা হা হা...
আরও পড়ুন, টেলি ধারাবাহিকের রেটিং নিম্নমুখী!
ক্রাশ?
এখন আর হয় না। ছোটবেলায় হত। আমার ছোটবেলার ফার্স্ট ক্রাশ কে ছিল? বুম্বাদা (প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়)। বুম্বাদা আর ঋতুপর্ণার জুটি ছিল তখন...সব সময় ভাবতাম যে আমি ঋতুপর্ণা।
তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে কখনও?
হ্যাঁ। চ্যানেল প্রোগ্রামে। মঞ্চে ছিলেন উনি। আমাদের ডাকা হয়েছিল। মঞ্চে উঠলাম। হি ইজ অ্যান অ্যামেজিং পার্সন...(লজ্জায় মুখ রাঙা)...আমার ফার্স্ট ক্রাশ, বুঝতেই পারছেন...হি ইজ গ্ল্যামারাস স্টিল নাও!
(সেলেব্রিটি ইন্টারভিউ, সেলেব্রিটিদের লাভস্টোরি, তারকাদের বিয়ে, তারকাদের জন্মদিন থেকে স্টার কিডসদের খবর - সমস্ত সেলেব্রিটি গসিপ পড়তে চোখ রাখুন আমাদের বিনোদন বিভাগে।)