আড্ডায় অকপট তনুশ্রী।
১০ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়-তনুশ্রী চক্রবর্তীর ছবি ‘অন্তর্ধান’। তিনি অপেক্ষায় একের পর এক ছবি মুক্তির।
শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, বনি সেনগুপ্তের মতোই কি রাজনীতি থেকে নির্বাসন নিতে চাইছেন অভিনেত্রী? মঙ্গলবার আনন্দবাজার অনলাইনের সান্ধ্য লাইভ আড্ডায় এসে এই নিয়ে মুখ খুললেন তনুশ্রী। স্পষ্ট বললেন, ‘‘এক সঙ্গে দুটো কাজ তখনই করতে পারব যখন দুটো কাজেই সমান পারদর্শী হব। রাজনীতিতে এসে বুঝলাম, অনেক কিছুই শেখা বাকি রয়ে গিয়েছে। আমায় আরও রাজনীতি শিখতে হবে। এখন সিনেমায় মন দিলাম’’।
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি-তে যোগ দিয়েই আনন্দবাজার অনলাইনের মুখোমুখি হয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরের তারকা প্রার্থী। সেই সময় তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘‘জনসেবা করতে চাই। তার জন্য রাজনৈতিক মঞ্চ দরকার। যে মঞ্চ আমায় দ্রুত সাধারণের কাছে পৌঁছে দেবে।’’ বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই যেন বেসুরো বেজেছেন শ্যামপুরের পরাজিত প্রার্থী। এ দিনের আড্ডায় তিনি সরাসরি বলেন, আপাতত তিনি রাজনীতি থেকে দূরেই থাকতে চান। ‘অন্তর্ধান’ ছাড়াও মুক্তির পথে ‘টনিক’, ‘আবার বছর ২০ পরে’, ‘আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা’। সেই সব ছবির প্রচারে থাকতে হবে তাঁকে। শ্যুট চলছে জিৎ প্রযোজিত এবং অভিনীত ‘রাবণ’ ছবির। কথা চলছে পাভেল এবং কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তনুশ্রী উপভোগ করছেন এই ব্যস্ততা।
রাজনীতি থেকে সরে এসে একই ভাবে ব্যস্ত শ্রাবন্তী, বনি। সোমবার তনুশ্রীর ‘কাছের বান্ধবী’কে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের মঞ্চে। বাসন্তীতে চার বিধায়ককে এ দিন সম্বর্ধনা জানানো হয়। সেই মঞ্চে নিজের ছবির গান গেয়ে মাতিয়ে দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, ডাকলেই তিনি তৃণমূলে আবার আসবেন। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি কি তনুশ্রীর ক্ষেত্রেও ঘটতে চলেছে? সঙ্গে সঙ্গেই সংযত অভিনেত্রী, রক্ষণাত্মকও। ছোট জবাবে জানিয়েছেন, ‘‘আমি যা করব তা সবাই জানতে পারবেন। কোনও কিছুই গোপনে করব না।’’