নিরাপত্তাহীনতা, জীবন সংশয়, মানসিক অবসাদ। সব কিছু নিয়ে অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে তনুশ্রী দত্তের। তাঁকে মেরে ফেলা হতে পারে, এমনটাই মনে করছেন বলিউডের বাঙালি অভিনেত্রী। সন্দেহভাজন হিসেবে স্পষ্ট করে উল্লেখ করলেন অভিনেতা নানা পটেকরের নাম। ২০১৮-য় ‘মি টু’ আন্দোলনে যোগ দিয়ে বলিউডে যৌন হেনস্থার শিকার হওয়ার কথা ফাঁস করেছিলেন তনুশ্রী। তখনই আঙুল তুলেছিলেন নানা, কোরিওগ্রাফার গণেশ আচার্য ও পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর দিকে। তাঁর অভিযোগ, এর পর থেকেই বলিউডে আর কাজ পাচ্ছেন না তিনি। এর পিছনে বলিউডের মাফিয়া রাজও জড়িত বলে মনে করেন অভিনেত্রী। মুম্বইয়ের সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘‘মুম্বইয়ে ফিরে আমি অভিনয়ে ফেরার চেষ্টা করছি। আমার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহীও অনেকে। কাজ পাচ্ছি, চুক্তিও হচ্ছে। কিন্তু তার পরেই পরিচালক-প্রযোজকেরা পিছিয়ে যাচ্ছেন। এই সব কিছুর জন্য দায়ী বলিউডের মাফিয়া-রাজ।’’
সম্প্রতি নিজের বর্তমান অবস্থার কথা জানিয়ে তনুশ্রী লিখেছেন, ‘আমার যদি কিছু হয়ে যায়, তার জন্য অভিনেতা নানা পটেকর, তার আইনজীবী ও সহযোগী মাফিয়া বন্ধুরা দায়ী থাকবে। ইন্ডাস্ট্রির এই অভিনেতা-পরিচালকদের ছবি বয়কট করুন।’ নিজের সংশয় প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অভিনেত্রী সুশান্ত সিংহ রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথাও উল্লেখ করেছেন তনুশ্রী। তাঁর দাবি, তরুণ অভিনেতার মৃত্যুতেও বলিউডের এই মাফিয়াদের হাত রয়েছে। মানসিক অবসাদে রয়েছেন তনুশ্রী। তার থেকে নিজেকে সরাতে গিয়েছিলেন নখ পরিচর্যা করতে। সেখানেও আতঙ্ক পিছু ছাড়েনি অভিনেত্রীর। তাঁকে কেউ অনুসরণ করছে, এমনটাই মনে হচ্ছে তাঁর। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ‘এখন জীবনের প্রতি আমার কোনও মোহ বা মায়া নেই। বন্ধু থেকে শুরু করে বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী— সবাই স্বার্থপর, বিশ্বাসঘাতক। আগামী দিনে কী হতে চলেছে জানি না। আগামী কাল থাকব কি না, তা-ও জানি না।’