স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।
দেশবাসীর মনোবল বৃদ্ধি করতে রবিবার দেশ জুড়ে বাতি জ্বালানোর ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই দিন রাত ৯ টায় বাড়ির আলো নিভিয়ে বারান্দায় বা ছাদে ৯ মিনিট মোমবাতি বা প্রদীপ জ্বালানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। মোদীর এই আহ্বানে পক্ষে-বিপক্ষে উঠে এসেছে নানা ধরনের মন্তব্য। কারও মতে উচিত কাজ, আবার কেউ বা বলছেন, “এই চরম সঙ্কটে যে খানে মানুষের বেঁচে থাকাটাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সে খানে এ রকম আহ্বান তো নিতান্তই প্রহসন”। ক্ষুব্ধ স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ও।
টুইটারে প্রশ্ন তুললেন, “এই অন্ধকার সময়ে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।খাবার, জল এবং অর্থ না পেয়ে বেঁচে থাকাটাইযে সব মানুষের প্রশ্নের মুখে, তাঁদের কাছ থেকে পারস্পরিক অন্তরঙ্গতা দেখিয়ে বাতি জ্বালানোর আশা করছি আমরা?”
২১ দিনের এই লকডাউনে অর্থকষ্টের মধ্যে পড়েছেন যৌনকর্মীরা। তাঁদের রোজগার বন্ধ। সোনাগাছির দুই যৌনকর্মী রিঙ্কি এবং টিনার বর্তমান পরিস্থিতির কথাও সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছেন স্বস্তিকা। কোলের সন্তানদের নিয়ে ওঁদের ঠাই হয়েছে ১০০ ফুটের একটি বেঞ্চে। বাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়েছেন তাঁরা। খানিকটা ব্যঙ্গের সুরেই স্বস্তিকার বক্তব্য, “ওহ! যৌনকর্মীদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন শুধু যৌনতারই, মাই ব্যাড! ”
আরও পড়ুন- দিল্লির নিজামুদ্দিনের জমায়েতকে ‘ক্রিমিন্যাল অ্যাক্ট’ বলে নেটাগরিকদের রোষের মুখে অপর্ণা
দেখুন স্বস্তিকার টুইট
অভিনেত্রীর বক্তব্যের সমর্থনে কমেন্ট বক্সেও এসেছে নানা বক্তব্য। “রিঙ্কি, টিনার মতো মানুষদের যেখানে মাথা গোঁজারই স্থান নেই, সেই সমস্ত মানুষের বারান্দাই বা কোথায়? আর মোমবাতিই বা জ্বালবে কী করে?”- এসেছে কমেন্ট।
আরও পড়ুন - নিজের চারতলা অফিস-বাড়ি কোয়রান্টিন সেন্টারের জন্য ছেড়ে দিলেন শাহরুখ
অন্য এক টুইটে স্বস্তিকা লেখেন, “আমার বাড়িতে মোমবাতি নেই। আমি নিশ্চিত আমার মতো অনেকেই রয়েছেন যাঁদের বাড়িতে এই মুহূর্তে কোনও মোমবাতি নেই। তাহলে আর কী? যাই সবাই মিলে মোমবাতি শপিং করি।”
শুধু স্বস্তিকাই নন অপর্ণা সেন, তাপসী পান্নুরাও মোদীর এই আহ্বানের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।