সুশান্ত-স্বস্তিকা।
‘‘কাজ করেছি এক সঙ্গে। সঞ্জনা সাংঘির ‘রিল মা’। বেশির ভাগ দৃশ্য ছিল সঞ্জনার সঙ্গে। ওর সঙ্গে কেউ খারাপ ব্যবহার করলে চোখে পড়ত না! আর সুশান্ত যৌন হেনস্থা করবে ওর নায়িকাকে? যাঁরা মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসাতে চেয়েছিলেন, এ সব তাঁদের অপপ্রচার’’, ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সুশান্ত সিংহ রাজপুতের শেষ ছবি ‘দিল বেচারা’ মুক্তির পরেই প্রয়াত অভিনেতাকে ক্যারেকটার সার্টিফিকেটে একশোয় একশো দিলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।
যদিও এই প্রশংসা দেখে বা শুনে যেতে পারলেন না সুশান্ত।
২০১৮-য় অনেক বাজে কথা রটেছিল সুশান্তের বিরুদ্ধে। সুশান্ত ‘স্কার্ট চেজার’, সুশান্ত তাঁর নায়িকা সঞ্জনাকে যৌন হেনস্থা করেছেন... ইত্যাদি ইত্যাদি। সেই সময় নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে সঞ্জনার সঙ্গে তাঁর যাবতীয় হোয়াটস অ্যাপ প্রকাশ্যে আনেন সুশান্ত। অনুরোধ জানান, মিথ্যে অপবাদের ভাগী করে যেন তাঁর কেরিয়ার শেষ করে না দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- কথা বলা তো দূর, নিজেদের বিয়েতে পর্যন্ত একে অপরকে নিমন্ত্রণ করেননি ঐশ্বর্যা-রানি
সেই রটনাকে নস্যাৎ করার পাশাপাশি স্বস্তিকা এ-ও বলেন, ‘‘ছবিতে মৃত্যুর কথা থাকলেও টিম স্পিরিট কিন্তু সব সময় পজিটিভ ছিল। সুশান্ত কেন, কেউই কারোর সঙ্গে কোনও রকম খারাপ ব্যবহার করেননি।’’
আরও এক ধাপ এগিয়ে অভিনেত্রীর দাবি, একজন মেয়ের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় সব সময়েই পুরুষের তুলনায় বেশি সজাগ। তাই সঞ্জনা যদি কিছু লুকিয়েও যেত, ঠিকই ধরা পড়ত তাঁর চোখে। কারণ, রাতের খাওয়াটাও সঞ্জনার ও তিনি এক সঙ্গে সারতেন।
সঞ্জনাও পরে অবশ্য মুখ খুলেছিলেন সুশান্তের হয়ে। জানিয়েছিলেন, সুশান্তের মতো মানুষ আর যা-ই করুন না কেন যৌন হেনস্থা করতে পারেন না। সেটে সব সময়েই তিনি প্রয়াত অভিনেতার থেকে সাহায্য পেয়েছেন। সুশান্তের হয়ে বলার সময় সঞ্জনা জানান, এক বার অভিনয়ের সময় তাঁর নাক দিয়ে রক্ত পড়ছিল। সেটা দেখতে পেয়েই পরিচালককে বলে শুটিং সাময়িক বন্ধ করেছিলেন পর্দার ‘ম্যানি’।