‘ও মরি স্বভাব তো কখনও যাবে না’। শুধু তো প্রবাদ নয়। এই নিয়ে গানও লেখা হয়েছিল এক সময়ে। লিখেছিলেন কবিয়াল গুরুদাস পাল (১৯১৩-১৯৬৮)। পরবর্তী কালে ১৯৯০-এর দশকে লোকসঙ্গীতের জনপ্রিয় শিল্পী স্বপন বসুর কণ্ঠে সেই গানের সঙ্গে মাঠে-ঘাটে, পাড়ায় জলসায় নাচতেও দেখা গিয়েছে শ্রোতাদের। এত বছর পরেও এই গানের রেশ অমলিন। এখন তৈরি হল এই গানের সিক্যুয়েল। প্রায় ১৫ বছর পর স্বভাব নিয়ে নতুন কথায়, নতুন সুরে গান গাইলেন স্বপন বসু।
'স্বভাব' নিয়ে গান লেখার ভাবনা মাথায় আসে প্রবাসী রণদীপ ভট্টাচার্যের। সেই ভাবনা নিয়েই শুরু হয় গান লেখার কাজ। রাজীব চক্রবর্তীর কথায়, আশু চক্রবর্তীর সুরে তৈরি হয় স্বভাব নিয়ে নতুন গান। বাংলা গানের একটি নতুন ওয়েব-মঞ্চে মুক্তি পেতে চলেছে এই গান। গানের ভিডিয়ো করেছেন শুভদীপ দাস।
লোকগান শিল্পী স্বপন বসুর নতুন গান থেকে বহু দিন বঞ্চিত ছিলেন শ্রোতারা। এই গানের মধ্যে দিয়েই আবার তাঁরা ফিরে পাবেন প্রিয় শিল্পীকে। পুরনো গানের আমেজ নিয়ে নতুন করে গাইলেন পছন্দের গান। গায়ক তাঁর অভি়জ্ঞতা জানালেন আনন্দবাজার অনলাইনকে।
‘‘আমার গাওয়া পুরনো গানকেই আবার নতুন কথা ওর সুরের মোড়কে ফিরিয়ে এলেছেন রণদীপ। আমার কাছে এটা একটা অসাধারণ অভিজ্ঞতা। এই গানের মধ্যে দিয়ে একটা সময়কে তুলে ধরা হয়েছে,’’ বললেন স্বপন।
‘নন্দলাল’ নিয়ে না ভেবে ‘থাকিলে ডোবখানা’ র ভাবনা কেন? প্রশ্নের উত্তরে স্বপন বললেন, "রণদীপের ইচ্ছে ছিল আমাকে দিয়ে একটা গান গাওয়ানোর। ‘থাকিলে ডোবাখানা' আমার খুব জনপ্রিয় গান। সময় বদলালেও স্বভাব কখনও পাল্টায় না-- এটা চিরন্তন সত্য। এই বাস্তব কথাটাকেই ওরা গানের মধ্যে বলতে চেয়েছিল। গানের রিমেক না করে অন্য রকম কিছু করার ভাবনা থেকেই রাজীব এই গানটা লেখে। একেবারে আলাদা কম্পোজিশন, কিন্তু আমেজ একই রকম।’’
এই গানের সুর করেছেন আশু চক্রবর্তী। প্রিয় শিল্পী তাঁর সুরে গাইছেন, সুরকারের কাছে অনন্য অভিজ্ঞতা। আশু বললেন, "ছোটবেলা থেকেই স্বপন বসুর গান ‘থাকিলে ডোবাখানা’ শুনেছি, ওই গানেরই একটা নতুন সংস্করণে সুর করতে হবে, ভাবতেই ভাল লাগছিল। রাজীব চক্রবর্তী গানটা আগে লেখেন, তার পর সুর করি। এই গান আগের মতোই শ্রোতাদের ভাল লাগবে বলে আমার বিশ্বাস।’’