অর্ণবের ছবিতে অবন্তিকা এ বার ‘লক্ষ্মীর মা’।
‘সেদিন কুয়াশা ছিল’ একাধিক জনের দ্বিতীয় ছবি। ‘অন্দরকাহিনী’র পর পরিচালক অর্ণব মিদ্যার দ্বিতীয় পরিচালনা। ‘অপরাজিত’-র পরে সেই অর্থে জীতু কমলেরও এটি দ্বিতীয় ছবি। এই ছবি দিয়েই চার বছর পরে বড় পর্দায় দ্বিতীয় বার হাজির হচ্ছেন অবন্তিকা বিশ্বাস। অর্ণবের ছবিতে অভিনেত্রী ‘লক্ষ্মীর মা’।
মাত্র দুটো দৃশ্য তাঁর অভিনয়। অবন্তিকার চরিত্রের ‘লুক’ প্রথম প্রকাশ্যে আনল আনন্দবাজার অনলাইন। ঘরোয়া ভাবে শাড়ি পরা। ঘটি হাতা ব্লাউজ। ঘাড়ের কাছে হাতখোঁপা। কপালে বড় টিপ। কিন্তু মাত্র দুটো দৃশ্যে নিজেকে কতটা প্রমাণ করতে পারবেন অভিনেত্রী? অবন্তিকাকে যাঁরা চেনেন, এই প্রশ্ন তাঁদের।
অবন্তিকার চরিত্রের ‘লুক’ প্রথম প্রকাশ্যে আনল আনন্দবাজার অনলাইন।
আনন্দবাজার অনলাইনেই সবাইকে জবাব দিয়েছেন অবন্তিকা। বলেছেন, ‘‘মাত্র দুটো দৃশ্য অভিনয় যেমন মজার, তেমনই চ্যালেঞ্জের। এই লক্ষ্মীর মা পর্দায় জীতুদার পরিবারে সহকারীর কাজ করতে এসে প্রচণ্ড অত্যাচারিত হবে। মারধরও খাবে। শেষে সে-ই ওই পরিবারের এক জন হয়ে উঠবে। কী ভাবে এমন অসম্ভব সম্ভব হবে? মাত্র দুটো দৃশ্যে দেখানো সত্যিই কঠিন।’’
অবন্তিকা নিজে আপাতত ক্যামেরার পিছনে। পরিচালনায় ব্যস্ত। ইতিমধ্যেই স্বাধীন ভাবে একটি ছবি তৈরি করেছেন। সেই অভিনেত্রী-পরিচালক নায়িকা থেকে অতিথি চরিত্রে। খারাপ লেগেছিল? পরিচালকের সঙ্গে বোঝাপড়া ভাল বলেই কি ছোট চরিত্রে অভিনয় করতে রাজি হয়েছেন? অবন্তিকার দাবি, তিনি চিত্রনাট্য শুনে রাজি হয়েছেন। পর্দার ‘লক্ষ্মীর মা’ তাঁর থেকে বয়সে অনেক বড়। এই ধরনের চরিত্রে তিনি কতটা মানানসই, তা পরখ করতে চেয়েও এই চরিত্রে রাজি হয়েছেন। তার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে অনেকটা ওজনও বাড়াতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
উইনডোজ প্রযোজনা সংস্থার আবিষ্কার অবন্তিকা। পাভেলের ‘রসগোল্লা’য় তিনি ‘ক্ষীরোদমণি’। ছবি জনপ্রিয়। সবাই ভেবেছিলেন, দম ফেলার ফুরসত পাবেন না অবন্তিকা। তা কিন্তু হয়নি। অভিনেত্রী আপাতত ক্যামেরার পিছনে ব্যস্ত। তাতে খুশি? নায়িকার দাবি, ‘‘ছোট থেকেই পরিচালনার শখ। কারণ, গল্প বলতে ভালবাসি। সেটাই এখন করতে পারছি। ফলে, অবশ্যই খুশি।’’ অবন্তিকা এ-ও জানিয়েছেন, সব সময়ে নায়িকা হতে হবে, এমন কোনও কথা নেই। মনমতো চরিত্র পেলে কখনও ‘না’ বলবেন না। এবং আগের কাজ আগে শেষ করার পক্ষপাতী তিনি। তাই হাতের কাজ সারতে গিয়ে দুটো বড় ছবির প্রস্তাব ছেড়ে দিতে হয়েছে তাঁকে।