বুদ্ধি এবং যুক্তি দিয়ে সুস্মিতা দেখিয়ে দিয়েছিলেন, আসলে তিনিই এগিয়ে আছেন তাঁর তারকা প্রতিদ্বন্দ্বীর থেকে।
সুস্মিতা সেন স্মার্ট ও সুন্দরী। একই সঙ্গে বিনয়ী, নম্র, ভদ্র এবং বুদ্ধিমতী। তামাম দুনিয়ার মতে, এই গুণগুলোই ১৯৯৪-এ বিশ্বসুন্দরীর মুকুট পরিয়েছিল তাঁর মাথায়।
কিন্তু প্রয়োজনে বিনয়ী সুস্মিতাও যে মারাত্মক ক্ষুরধার হয়ে উঠতে পারেন, সেটা জানা ছিল?
না জানলে তাকাতে হবে পিছনে। বছর কয়েক আগে। প্রচুর লোকের উপস্থিতিতে এক সাংবাদিক সুস্মিতাকে প্রশ্ন ছুড়েছিলেন, তাঁর পরে ঐশ্বর্যা রাই এবং প্রিয়ঙ্কা চোপড়া বিশ্বসুন্দরী হয়েছেন। পরে এসে ওঁরা যে ভাবে বলিউডে সফল সেই নিরিখে তিনি কি পিছিয়ে?
আরও পড়ুন: সলমন, কর্ণ, মহেশ সাবধান হোন, মানুষ ছেড়ে দেবে না!
বিনয়ী সুস্মিতা সঙ্গে সঙ্গে স্বীকার করে বলেন, ‘‘একটু কেন! অনেকটাই পিছিয়ে। বিশেষ করে প্রিয়ঙ্কা যে ভাবে নিজেকে মেলে ধরেছেন আন্তর্জাতিক স্তরে এবং বলিউডের জন্য যা করেছেন তা সত্যিই অতুলনীয়। প্রিয়ঙ্কাকে নিয়ে গর্ব করা উচিত।’’
খোঁচানোর পরেও এই ধরনের ‘পান্তা’ উত্তর মেলায় সাংবাদিকের আবার খোঁচা, তা হলে আগে মিস ইউনিভার্স হয়ে, বলিউডে বাকি দুই তারকার থেকে আগে এসেও ব্যর্থ সুশ?
এ বার ঝলসে উঠলেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী। সাংবাদিককে ধারালো ভাবে মনে করিয়ে দিলেন, ‘‘আমার পরে মিস ইউনিভার্স হয়েছেন লারা দত্ত। ঐশ্বর্যা রাই, প্রিয়ঙ্কা চোপড়া মিস ওয়ার্ল্ড! হ্যাঁ, আমার আর লারার পরে আর কেউ মিস ইউনিভার্স হননি। এটা দুঃখের। কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি এই ফাঁকও ভরাট হয়ে যাবে। অলিম্পিকেও দেশের মেয়েরা এখন প্রচণ্ড সফল। ফলে, সুদিন আসতে দেরি নেই।’’
আরও পড়ুন: মোছা হয়েছে সুশান্তের টুইট? জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে টুইটারকে
সে দিন বুদ্ধি এবং যুক্তি দিয়ে সুস্মিতা দেখিয়ে দিয়েছিলেন, আসলে তিনিই এগিয়ে আছেন বাকি দুই তারকা প্রতিদ্বন্দ্বীর থেকে।
প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরীর এই মন্তব্যে তত ক্ষণে কাত সেই সাংবাদিক। সেই ভিডিয়ো আবার সামনে আসতেই ‘সেন সুন্দরী’র বুদ্ধিকে কুর্নিশ জানিয়েছেন একুশের নেটাগরিকেরাও।