মেয়ে রেনের সঙ্গে সুস্মিতা সেন। ছবি: সংগৃহীত।
১৯৯৪ সালে ব্রহ্মাণ্ডসুন্দরীর খেতাব জেতেন সুস্মিতা সেন। তখন বয়স ১৮ বছর। তার পর শুরু বলিউডের সফর। অভিনেত্রীর হওয়ার লড়াই। তবে কোনও দিনই তথাকথিত ইঁদুরদৌড়ে ছিলেন না সুস্মিতা। ছকভাঙা, চলতি ধ্যানধারণার বিপরীতেই হেঁটেছেন বরাবর। নব্বইয়ের দশকেও বলিউডের অভিনেত্রীরা কম বয়সে বিয়ে করার কথা ভাবতেন না, মা হওয়া তো দূরের কথা। ধরে নেওয়া হত, মা হওয়ার পর অভিনেত্রীর কেরিয়ার শেষ। সেই যুগে মাত্র ২৪ বছর বয়সে মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সুস্মিতা। দত্তক নিয়েছিলেন কন্যাসন্তান। মাতৃত্বের বিষয়ে সুস্মিতা বরাবরই পথপ্রদর্শক, যুগান্তরকারীও বললেও অত্যুক্তি হবে না। বিয়ে না করেই প্রথম সন্তান দত্তক নেন তিনি। বুঝিয়ে দেন, মাতৃত্বের সঙ্গে বিয়ের কোনও যোগ নেই। ২০০০ সালে অভিনেত্রীর জীবনে আসেন তাঁর বড় মেয়ে রেনে। তবে ২৪ বছর বয়সে মা হওয়ার সিদ্ধান্ত সহজ ছিল না সুস্মিতার কাছে। অভিনেত্রীর সিদ্ধান্তের কথা শুনে তার উপর বেজায় রেগে যান তাঁর মা শুভ্রা সেন।
এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী তাঁর মাতৃত্বের শুরুর কথা বলতে গিয়ে জানান, তাঁর এই সিদ্ধান্তে ঘোরতর আপত্তি ছিল তাঁর মায়ের। অভিনেত্রী নিজেই এত ছোট, কী ভাবে আরও এক সন্তান সামলাবেন, সেই নিয়ে সন্দিহান ছিলেন তাঁর মা। যদিও অভিনেত্রীর বাবা তাঁকে সমর্থন করেছিলেন।
সুস্মিতার কথায়, ‘‘আমার সিদ্ধান্তে মা খুব রেগে গিয়েছিল। মা তখন একটাই কথা বলেছিল, ‘তুমি নিজেই এত ছোট, তুমি কী বলছ জানো?’ বাবা অবশ্য জানতে চেয়েছিল, এই ভাবনা আমার মাথায় এল কী ভাবে। আমি বলেছিলাম, ভিতর থেকে এই অনুভূতিটা অনুভব করছি। আমি বাবাকে বলেছিলাম আমি আগে একটা সন্তানের মা হতে চাই।’’
সুস্মিতা জানান, তাঁর বাবাই রেনের জীবনের পিতৃস্থানীয়। সঙ্গীহীন হওয়ায় সন্তান দত্তক নেওয়ার জন্য বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল সুস্মিতা। তবে প্রতি মুহূর্তে সঙ্গে পেয়েছেন বাবা সুবীর সেনকে। রেনের জন্য আইনি সব জটিলতাই একা হাতে সামলেছেন তাঁর বাবা। শুধু তাই নয়, রেনের নামে নিজের যাবতীয় সম্পত্তি করে দিয়েছেন অভিনেত্রীর বাবা। এখন অভিনেত্রীর মেয়ে রেনের বয়স ২৩। মায়ের মতো বলিউডে কাজ করার ইচ্ছে তরুণী রেনের।