সুশান্ত সিংহ রাজপুত
#মিটু’র অভিযোগ আনা হয়েছিল সুশান্ত সিংহ রাজপুতের বিরুদ্ধে। নামজাদা চিত্র সমালোচক রাজীব মসন্দ নাম না করে এক প্রতিবেদনে সুশান্তকে বলেছিলেন ‘স্কার্ট চেজার’,অর্থাৎ যে কি না মেয়েদের স্কার্টের পিছনে ছুটে বেড়ায়। ইন্ডাস্ট্রিতে রটিয়ে দেওয়া হয়েছিল সুশান্তের নাকি ‘অ্যাটিটিউড প্রবলেম’ আছে। “তখন আমরা চুপ ছিলাম কেন?”প্রশ্ন তুলেছেন ‘আলিগড়’ ছবির চিত্রনাট্যকার অপূর্ব আসরানি।
সাল ২০১৮। #মিটু ঝড়ে উত্তাল বলিউড। একে একে ফেঁসে যাচ্ছেন কৈলাশ খের, অনু মালিকেরা। ঠিক এই সময়েই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ছাপা হয় সুশান্তের ‘দিল বেচারা’ কো-স্টার সঞ্জনা সঙ্ঘী নাকি সুশান্তের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছেন। সে সময় মায়ের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন সঞ্জনা। অনেক চেষ্টা করেও তাঁর বয়ান পাওয়া যাচ্ছিল না। এ দিকে ‘ধর্ষক’, ‘মলেস্টার’, ‘খারাপ লোক’ ইত্যাদি তকমা পেতে পেতে ক্লান্ত সুশান্ত নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য সঞ্জনার সঙ্গে তাঁর যাবতীয় চ্যাট শেয়ার করেন জনসমক্ষে। ওই খানিক ‘অগ্নিপরীক্ষা’র মতোই।
ইতিমধ্যে সঞ্জনা দেশে ফিরে আসেন। সব কিছু শুনে তিনি অবাক। বিবৃতিতে পরিস্কার করে জানিয়ে দেন,“এই সব কারা রটিয়েছেন জানি না। তবে সুশান্তের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা ভিত্তিহীন, মিথ্যে।” হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন সুশান্ত। কিন্তু ক্ষত রয়েই যায়।
অপূর্বর প্রশ্ন এখানেই। কেন তখন একটি বাক্যও খরচ করেননি কেউ? মিথ্যে অভিযোগের বোঝা বয়ে বেড়ানো সুশান্তের পাশে কেন কাউকে দাঁড়াতে দেখা যায়নি?
মঙ্গলবার বান্দ্রা পুলিশ স্টেশনে জেরা করা হয়েছে রাজীব মসন্দকে। নেটাগরিকরা মনে করিয়ে দিয়েছেন, রাজীবই দিনের পর দিন সুশান্তের বিভিন্ন ছবিতে লো-রেটিং দিয়েছিলেন। অপূর্বও প্রশ্ন তুলেছেন, “দিনের পর দিন রাজীব তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে কথা লিখে গিয়েছেন, তার কী হবে? ওই সব কথাগুলো কি একজন মানুষকে শেষ করে দেওয়ায় পক্ষে যথেষ্ট নয়?”
A post shared by Varinder Chawla (@varindertchawla) on
সুশান্ত মারা গিয়েছেন এক মাস অতিক্রান্ত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ হালকা হবে স্মৃতিও। কিন্তু এই একটি মৃত্যু আচমকাই নাড়িয়ে দিয়েছে বলিউডকে। বছরের পর বছর চাপা পড়ে থাকা কিছু তিক্ত সত্য হঠাৎ করেই যেন ফিরে আসছে জনসমক্ষে।