সুশান্ত সিংহ রাজপুত।
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তে নয়া মোড়। প্রয়াত অভিনেতার বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানিকে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার করল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। শুরু থেকেই সিবিআই এবং এনসিবি-র আতসকাচের তলায় ছিলেন সিদ্ধার্থ। একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে ডেকে পাঠায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। এ বার সুশান্তের মৃত্যুবার্ষিকীর ঠিক আগেই তদন্তের নতুন দিক খুলে গেল।
এনসিবি-র আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ে মুম্বইয়ের সংবাদমাধ্যমকে জানান, খুব শীঘ্রই আদালতে তোলা হবে সিদ্ধার্থকে। মাদকযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। অতীতেও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল এনসিবি এবং সিবিআই। একাধিক বার ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেরা করা হয় তাঁকে। গত বছর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অভিনেতার মৃত্যু তদন্তে নামলে সামনে উঠে আসে মাদকযোগের সূত্র।
সুশান্তের সঙ্গে একই ফ্ল্যাটে থাকতেন সিদ্ধার্থ। অভিনেতার বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীরও ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে ওঠেন তিনি। সুশান্তের মৃত্যুর পর রিয়ার কল রেকর্ড থেকে দেখা গিয়েছিল ওই বছরে সিদ্ধার্থের সঙ্গে প্রায় ১০০ বার কথা হয়েছে তাঁর। বন্ধুর মৃত্যুর পর তাঁকে নিয়ে তদন্তকারী সংস্থা এবং সংবাদমাধ্যমের কাছে একাধিক বার কথা বললেও এই প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান সিদ্ধার্থ।
গত অক্টোবর মাসে তদন্তের স্বার্থে সুশান্তের পরিচারক নীরজের সঙ্গে দিল্লি গিয়েছিলেন তিনি। জানা গিয়েছিল, ১৬৪ ধারা অনুযায়ী দু’জনের বয়ান রেকর্ড করবে সিবিআই। তবে সেই প্রথম নয়, তার আগেও সুশান্ত মৃত্যু কান্ডের এই দুই প্রত্যক্ষদর্শীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। দু’জনের বয়ানের অসংগতি থাকায় সেগুলো খতিয়ে দেখতে আবার ডেকে পাঠানো হয়েছিল তাঁদের। নীরজের বয়ান অনুযায়ী সিদ্ধার্থই প্রথম সুশান্তকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেছিলেন। তবে কি সিদ্ধার্থের গ্রেফতার ফাঁস করবে নতুন কোনও তথ্য? উঠে আসবে অভিনেতার মৃত্যু রহস্যের নতুন কোনও দিক? এখন সেটাই দেখার।