রিয়া।
গভীর রাতে বিছানায় মত্ত অবস্থায় রিয়াকে জড়িয়ে ধরেছিলেন সুশান্তের দিদি প্রিয়ঙ্কা, মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এমনটাই জানালেন রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে। পাশাপাশি সতীশ এ-ও বলেন, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের ছেলে আদিত্য ঠাকরেকে ব্যক্তিগত ভাবে চেনেন না রিয়া, অভিনেতা দিনো মোরিয়াকে চেনেন, তবে ইন্ডাস্ট্রি সূত্রেই।
সতীশের কথায়: “সুশান্ত এবং রিয়া দু’জন দু’জনকে অনেক দিন ধরেই চিনতেন। তাঁরা সম্পর্কে আসেন গত বছর এপ্রিলে। ২০১৯-এর ডিসেম্বরেও তাঁরা বান্দ্রার মাউন্ট ব্ল্যাঙ্কে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন।” তিনি আরও বলেন, রিয়া ও সুশান্ত একসঙ্গে পাকাপাকি ভাবে থাকতে শুরু করার আগে সুশান্তের দিদি প্রিয়ঙ্কা এবং তাঁর স্বামী সিদ্ধার্থ সুশান্তের সঙ্গে থাকতেন।
এর পরেই ওই আইনজীবীর বিস্ফোরক মন্তব্য: “রিয়া এবং প্রিয়ঙ্কা এক বার এক পার্টিতে যান। সেখানেই অত্যধিক মদ্যপান করেন প্রিয়ঙ্কা। এতটাই নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন প্রিয়ঙ্কা যে ঠিকমতো দাঁড়াতেও পারছিলেন না। এই অবস্থায় রিয়া তাঁকে সুশান্তের ফ্ল্যাটে ফিরে আসতে বলেন। সুশান্তের ফ্ল্যাটে আসার পরেও সুশান্ত এবং প্রিয়ঙ্কা মদ্যপান করছিলেন। কিন্তু রিয়ার পরের দিন শুট থাকায় তিনি শুয়ে পড়েন।” রিয়ার আইনজীবীর বয়ান অনুযায়ী, “গভীর রাতে আচমকাই ঘুম ভেঙে যায় রিয়ার। তিনি দেখেন, প্রিয়ঙ্কা তাঁকে ক্রমশ জড়িয়ে ধরছেন। এরপরেই সেই ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যান রিয়া।”
আরও পড়ুন- ছেলে আমার মতোই হয়েছে, সারা রাত কথা বলে: কোয়েল
এর আগে সুশান্তের পরিবার পুলিশকে জানিয়েছিল, রিয়ার জন্যই নাকি একটা দীর্ঘ সময় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা বন্ধ করে দিয়েছিলেন সুশান্ত। পাল্টা সুশান্ত এবং তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট শেয়ার করেছিলেন রিয়া। সেখানে দেখা গিয়েছিল প্রিয়ঙ্কার উদ্দেশে সুশান্ত বলছেন, “ও পাক্কা শয়তান।” এমনকি, রিয়ার পরিবারে সম্পর্কেও উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করতে দেখা গিয়েছিল সুশান্তকে। রিয়া সেই চ্যাট প্রকাশ্যে আনার পরেই সুশান্তের আর এক দিদি শ্বেতা এক ভিডিয়ো শেয়ার করে বলেছিলেন, প্রিয়ঙ্কার নামে মিথ্যে অভিযোগ এনে সুশান্তকে ভুল বুঝিয়েছিলেন রিয়া। সুশান্ত প্রথমে ভুল বুঝলেও পরে ‘সত্যি’ জানতে পেরে দিদিদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন।
আরও পড়ুন- ইনস্টাগ্রামে একে অপরকে ‘আনফলো’ করলেন কার্তিক-সারা! কেন?
যদিও রিয়ার আইনজীবী সতীশের বক্তব্য, প্রিয়ঙ্কার ঘটনাটি সুশান্তকে জানানোর পরই প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে সুশান্তের ঝামেলা হয়। আর এর পর থেকেই নাকি সুশান্তের পরিবারের চোখে খারাপ হয়ে যান রিয়া। সেই কারণেই গত ৮ জুন সুশান্তের দিদি মিতু যখন ভাইয়ের বাড়ি আসবেন জানান, তখনই নাকি রিয়াকে কিছুদিনের জন্য নিজের বাড়িতে গিয়ে থাকতে বলেন সুশান্ত। সেই মতোই গত ৮ জুন সুশান্তের বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে নিজের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন রিয়া। সতীশের আরও দাবি, শুধুমাত্র সুশান্তই নন, বিভিন্ন কারণে রিয়ারও প্যানিক অ্যাটাক হচ্ছিল। তিনি চিকিৎসাও করাচ্ছিলেন।