বিহার পুলিশ মুম্বইয়ে, আগাম জামিনের ব্যবস্থা করছেন রিয়া?

যদিও মুম্বই পুলিশের মতে, সুশান্ত-কাণ্ডে প্রথমেই যখন তাঁর পরিবারের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছিল তখন রিয়াকে নিয়ে এ সব কিছুই বলেননি সুশান্তের পরিবার।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন 

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২০ ১৭:৩৮
Share:

সুশান্ত-রিয়া।

উত্তাল গোটা দেশ। সুশান্ত সিংহ রাজপুতের বাবা ভারতীয় দণ্ডবিধির মোট ছ’টি ধারায় এফআই আর দায়ের করেছেন ছেলের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবারই মুম্বই পৌঁছে গিয়েছে বিহার পুলিশের চার সদস্যের একটি দল। চুপ করে নেই রিয়া চক্রবর্তীও। বিহার পুলিশের এই তদন্তের বিরুদ্ধে তিনি বুধবারই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

মুম্বই পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতেই নাকি রিয়ার সঙ্গে একপ্রস্থ কথা হয়েছে তাদের। বিহার পুলিশও খুব শীঘ্রই কথা বলবে রিয়ার সঙ্গে। রিয়াও আগে থেকেই কথা বলে রাখছেন তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে। গতকাল রাতেই রিয়ার আইনজীবী আনন্দিনী ফার্নান্ডেজকে অভিনেত্রীর বাড়ি থেকে বেরোতে দেখা গিয়েছে। সূত্রের খবর, আগাম জামিনের ব্যবস্থা করছেন রিয়া।

দু’পাতার অভিযোগপত্রে সুশান্তের বাবা লিখেছেন, বলিউডে নিজের কেরিয়ার বানানোর জন্য সুশান্তকেই সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করছিলেন রিয়া। এমনকি, সুশান্তের মৃত্যুর দিন কয়েক আগে তাঁর ম্যানেজার দিশা আত্মহত্যা করাতে সুশান্তকেই পরোক্ষে দায়ী করতে পারেন রিয়া...এমনটাই নাকি ভয় পেয়েছিলেন সুশান্ত, সুশান্তের বাবার প্রশ্ন, ২০১৯-এর আগে সুশান্তের কোনও রকম মানসিক সমস্যা দেখা দেয়নি, অথচ, রিয়ার সঙ্গে দেখা হওয়ার পরেই কেন এমনটা হল? এখানেই থামেননি অভিনেতার বাবা। এফআইআর পত্রে তিনি আরও লেখেন, রিয়া যদি জানতই আমার ছেলে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত তা-ও কেন তাকে ছেড়ে চলে গেল? আর গেলই যখন সুশান্তের চিকিৎসার কাগজ কেন নিয়ে গেল সে? রিয়ার সঙ্গে আলাপের পরেই কেন সুশান্ত কাজ পাচ্ছিলেন না তা নিয়েও পুলিশকে অনুসন্ধান করার আবেদন জানিয়েছেন সুশান্ত সিংহ রাজপুতের বাবা।

Advertisement

দেখুন সেই অভিযোগ পত্রটি

পাশাপাশি, সুশান্তের তুতো ভাই এবং বিজেপি সাংসদ নীরজ কুমার সিংহের অভিযোগ, সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে একটি মোটা অঙ্কের টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছিল রিয়ার অ্যাকাউন্টে।

যদিও মুম্বই পুলিশের মতে, সুশান্ত-কাণ্ডে প্রথমেই যখন তাঁর পরিবারের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছিল তখন রিয়াকে নিয়ে এ সব কিছুই বলেননি সুশান্তের পরিবার। এ প্রসঙ্গে যদিও সুশান্তের পরিবারের আইনজীবী সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানান, সুশান্তের এই হঠাৎ চলে যাওয়ায় পরিবারের উপর দিয়ে ঝড় বয়ে গিয়েছিল। তাঁর অভিযোগ, মুম্বই পুলিশ নাকি অনেক বার বলা সত্ত্বেও এফআইআর নিচ্ছিল না। বলিউডেরবড় প্রযোজনা সংস্থাগুলির নাম নেওয়ার জন্য জোর দিচ্ছিলেন তাঁরা।’’

সুশান্ত-কাণ্ডে এই নতুন মোড় ঘোরায় সত্যিই কি জট খুলবে তাঁর মৃত্যু রহস্যের?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement