বলিউড সরগরম মাদক চক্রে যোগ নিয়ে। সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর তদন্তে নেমে মাদক চক্রের যোগ প্রকাশ্যে আসতেই ঘুম উড়েছে অনেকের। কঙ্গনা রানাউত সোশ্যাল মিডিয়ায় স্পষ্ট ভাবে দাবি তুলেছেন দুই রণবীরের ড্রাগ পরীক্ষার। নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) বসিত পরিহার নামে বান্দ্রার এক বাসিন্দাকে গ্রেফতারও করেছে বুধবার। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর ভাইকেও। নাম জড়াচ্ছে শিল্পা শেট্টির পরিবারেরও।
বলিউডের মাদক যোগ অবশ্য একেবারেই নতুন নয়। বার বার বহু তারকার নাম জড়িয়েছে মাদক নেওয়ার অভিযোগে। কোনও তারকার জেল পর্যন্ত হয়েছে। অনেকে প্রকাশ্যে স্বীকারও করেছেন মাদক নেওয়ার কথা। দেখে নেওয়া যাক কোন কোন অভিনেতার মাদক সেবনের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে।
রণবীর কপূর- স্কুল জীবন থেকেই নাকি মাদক সেবনের অভ্যাস রণবীর কপূরের। কঙ্গনাও অভিযোগ এনেছেন তাঁর বিরুদ্ধে। বলিউডের চকলেট বয়কে নাকি রিহ্যাবেও যেতে হয়েছিল। এমনকি গাঁজার নেশার কথা প্রকাশ্যে স্বীকারও করেন রণবীর।
সুজান খান- হৃত্বিক রোশনের প্রাক্তন স্ত্রী সুজান খানের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ রয়েছে। হৃতিকের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ার পর নাকি চরম অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন সুজান। সুজান নাকি ড্রাগের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন তখন।
সঞ্জয় দত্ত- বলিউড তারকা সঞ্জু বাবা কিন্তু নিজে স্বীকার করেছিলেন মাদক চক্রে জড়িয়ে পড়ার কথা। বলিউজের কেরিয়ারের সঞ্জয় দত্তের ক্ষতির মূল জায়গাই নাকি এই মাদক।
হানি সিংহ-বলিউডের বিখ্যাত র্যাপার হানি সিংহ। তিনি নাকি বহু বার রিহ্যাবে গিয়েছিলেন মাদকাসক্তি থেকে রেহাই পেতে। গাঁজা, কোকেন, হেরোইন সবরকম মাদক সেবনেরই নাকি অভ্যাস আছে হানির।
সূর্য পাঞ্চোলি- আদিত্য পাঞ্চোলির ছেলে সূর্য পাঞ্চোলি চরম অবসাদে ভুগছিলেন। প্রেমিকা জিয়া খানকে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। গাঁজা, কোকেন, হেরোইন এ সবই নাকি নিয়েছিলেন তখন। তবে প্রকাশ্যে সূর্য তা স্বীকার করেননি।
গৌরী খান-বলিউড বাদশা কিং খান শাহরুখের স্ত্রী গৌরী। বার্লিন বিমানবন্দরে নাকি ধরা পড়েছিলেন সঙ্গে মারিজুয়ানা ছিল বলে।
ফারদিন খান- ফারদিন নাকি কোকেন থেকে হেরোইন সব রকম মাদকেই আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। এই আসক্তি ছাড়ার চেষ্টাও করেছিলেন তিনি। মাদক থাকার অভিযোগে তিনি গ্রেফতারও হয়েছিলেন।
প্রতীক বব্বর- রাজ বব্বর এবং স্মিতা পাটিলের সন্তান প্রতীক বব্বর প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন মাদক সেবনের কথা। অতিরিক্ত মাদক নিয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালেও যেতে হয়েছিল তাঁকে।
মনীষা কৈরালা- নব্বইয়ের দশকের অন্যতম নায়িকা মনীষা। তিনিও নাকি ভয়ঙ্কর মাদক সেবন করতেন। তবে ওভারির ক্যানসার ধরা পড়ার পর নাকি অভিনেতা সেই অভ্যাস ত্যাগ করেন।
মমতা কুলকার্নি- মমতা এবং তাঁর স্বামী ভিকি দু’জনের বিরুদ্ধেই মাদক রাখার অভিযোগ ছিল। তাঁদের নাম জড়িয়েছিল মাদক পাচারের সঙ্গেও। গ্রেফতারও হয়েছিলেন মমতা। মমতার বলিউড কেরিয়ার নষ্টের মূল কারণও নাকি এটাই।
পরভিন ববি- ড্রাগ ওভারডোজ বা অতিরিক্ত মাদক সেবনের ফলেই নাকি প্রাণ হারান বলিউডের গ্ল্যামারাস অভিনেতা পরভিন ববি। একাকিত্বের কারণেই নাকি বেছে নিয়েছিলেন মাদককে।
রবিনা টন্ডন- রবিনা বললেই মনে পড়ে ‘টিপ টিপ বর্ষা পানি’। ‘খিলাড়ি’ নায়িকার সঙ্গে এক সময় অক্ষয় কুমারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। অক্ষয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন রবিনা। তখন নাকি গাঁজা ও অন্য মাদক সেবন করতেন।
কপিল শর্মা- বলিউডের কেরিয়ারে সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছিলেন কপিল শর্মা। বিখ্যাত এই কৌতুক অভিনেতাও অবসাদ ভুলতে নাকি মাদকের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। নিয়মিত গাঁজা খেতেন কপিল, বলিউডের নানা পত্র-পত্রিকায় এমনই প্রকাশিত হয়েছিল।
বিজয় রাজ- দুবাই বিমানবন্দরে বলিউডের আরও এক জন কৌতুক অভিনেতা মাদক রাখার কারণে গ্রেফতার হন। তিনি হলেন বিজয় রাজ। ভ্রমণের সময় তাঁর সঙ্গে নাকি গাঁজা ছিল।
রাহুল মহাজন- প্রাক্তন সাংসদ প্রমোদ মহাজন পুত্রেরও নাকি মাদক সেবনের অভ্যাস ছিল, এমন খবর প্রকাশিত হয়েছিল বেশ কয়েকটি পত্র-পত্রিকায়। হেরোইনের অতিরিক্ত ডোজের কারণে রাহুল হাসপাতালে নাকি দীর্ঘ দিন ভর্তিও ছিলেন।
মীনা কুমারী- বিচ্ছেদের পর অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন বলিউডের অন্যতম সেরা কিংবদন্তি অভিনেতা মীনা কুমারী। অভিনয়েও প্রভাব পড়েছিল সেই অভ্যাসের। ভালবাসা ভুলতে আকণ্ঠ মদ্যপান। জনপ্রিয়তার শিখরে থাকতে থাকতেই মাত্র ৩৯-এ ফুরিয়ে যাওয়া ট্র্যাজিক নায়িকা মীনা কুমারীও নাকি মাদক সেবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন।
গীতাঞ্জলি নাগপাল- এই অভিনেত্রী-মডেলের জীবনটাও যেন রুপোলি পর্দার মতোই। মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে তুলনা করা হত তাঁর। নামজাদা ডিজাইনার থেকে আলোকচিত্রীর সঙ্গে কাজ করেছেন। এক সময় দিল্লির এক আলোকচিত্রী ফুটপাত থেকে এই সুপার মডেলকে উদ্ধার করেন। রাস্তায় ভিক্ষা করছিলেন গীতাঞ্জলি। শুরু হয় চিকিত্সা। অবসাদের কারণেই নাকি তিনি মাদক নিতে শুরু করেন।