সারা-সুশান্ত।
সময় ভাল যাচ্ছে না সারার। প্রাক্তন প্রেমিকের জন্য নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর আতসকাচের নীচে তিনি। অফিসে গিয়ে নানা প্রশ্নের জবাবদিহি করতে হয় তাঁকে। বিদেশ থেকে পড়াশোনা করে এসে বলিউডে বেশ নিজের জমি দখল করে নিচ্ছিলেন। ঠিক তখনই এই বিপত্তি। এমনকি, বাবা সইফ আলি খানও এ সবের থেকে হাত তুলে দিয়ে দিল্লি রওনা হয়েছেন।
এত দুর্ভোগের নেপথ্যে কারণ শুধু একটাই। সুশান্তের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা। অথচ, তার পরেও সেই সুশান্তের কর্মচারীদের মধ্যেই এক জনকে নিজের বাড়িতে কাজে রাখলেন সারা! জানা যাচ্ছে, কেশব নামের সেই ব্যক্তি মালিকের মৃত্যুর পর আশ্রয় পেয়েছেন সারার বাড়িতে। সুশান্তের মৃত্যুর দিন, অর্থাৎ ১৪ জুন যে ক’জন ব্যক্তি অভিনেতার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে উপস্থিত ছিলেন, কেশব তাঁদের এক জন। এর আগে সিবিআইয়ের তলবে সুশান্তের বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি এবং রাঁধুনি নিরজের সঙ্গে ডিআরডিও অফিসের সামনে দেখা যায় কেশবকেও।
হঠাৎ কেশবকে কেন আশ্রয় দিলেন সারা? এর উত্তর এখনও জানা যায়নি। এর আগে সুশান্তের ফার্ম হাউজের নিরাপত্তারক্ষী রইসের কথায় উঠে এসেছিল সুশান্তের কর্মচারীদের প্রতি সারার সৌজন্যের প্রশংসা। তিনি জানিয়েছিলেন, “সারা ম্যামের ব্যবহার খুবই ভাল ছিল। যিনি রান্না করতেন তাঁকে ডাকতেন ‘মউসিজি’ বলে। আমায় বলতেন রইস ভাই। সুশান্ত স্যরের সব কর্মচারীকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করতেন সারা ম্যাম। তবে কি শুধুমাত্র মানবিকতার খাতিরেই বিপদের মধ্যেও তাঁদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন নায়িকা?
আরও পড়ুন- 'গেন্দা ফুল’-এর নতুন রূপ নিয়ে এলেন অরিন্দম-বিক্রম, রতন কাহারের সঙ্গে নাচলেন জ্যাকলিন-দেবলীনা
শনিবার ব্যালারড এস্টেটে টানা পাঁচ ঘণ্টা নায়িকাকে জেরা করে এনসিবি। সুশান্তের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং ব্যাঙ্কক ট্রিপের কথা স্বীকার করেন সারা। মাদকের প্রসঙ্গ উঠলে জানান, সিগারেট খেলেও মাদক গ্রহণ করেননি তিনি। আপাতত তাঁর ফোন এবং ক্রেডিট কার্ড বাজেয়াপ্ত করেছে এনসিবি।