অনুরাগ কাশ্যপ ও রিয়া চক্রবর্তী। —ফাইল চিত্র।
রিয়া চক্রবর্তী গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তাঁর সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন অনুরাগ কাশ্যপ। করেছেন একাধিক টুইট। তদন্তের ফাঁকফোকর দেখিয়ে তুলেছেন নানা প্রশ্ন। সুশান্তের পরিবার থেকে শুরু করে অনুরাগীরা বেজায় চটে পরিচালকের উপর।
এরপর তিনি সামনে আনলেন সুশান্তের ম্যানেজারের সঙ্গে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট।
সেখানে দেখা যায়, সুশান্তের ম্যানেজার অভিনেতার সঙ্গে অনুরাগকে কাজ করার পরামর্শ দিচ্ছেন। তিনি এ-ও বলেন, দর্শক হিসেবে তাঁদের যুগলবন্দি দেখার জন্য তিনি মুখিয়ে রয়েছেন। যদিও অনুরাগের গলায় মেলেনি সম্মতির সুর। উত্তরে অনুরাগ লিখেছিলেন,“সুশান্ত খুবই জটিল একজন মানুষ। কেরিয়ার শুরুর আগে থেকেই ওঁকে আমি চিনি। ওঁর প্রথম সিনেমা ‘কাই পো চে’-তেও ওঁকে আমি সুযোগ করে দিয়েছিলাম।”
আরও পড়ুন: চ্যালেঞ্জ নিয়ে মুম্বইয়ে কঙ্গনা, ফের বললেন ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীর’
আক্ষেপের সুরে তিনি লেখেন, “এই চ্যাট এ ভাবে জনসমক্ষে তুলে ধরার জন্য আমি দুঃখিত। এতদিন আমি কোনও কথাই বলিনি। কিন্তু এ বার মনে হল কথা বলা প্রয়োজন। অনেকগুলি ব্যক্তিগত কারণেই আমি সুশান্তের সঙ্গে কাজ করতে চাইনি।” সুশান্তের মৃত্যুর ঠিক তিন সপ্তাহ আগে, গত২২ মে সুশান্তের ম্যানেজারের সঙ্গে অভিনেতাকে নিয়ে কথা হয়েছিল পরিচালকের।
এখানেই থেমে থাকেননি ‘গ্যাংস অব ওয়াশিপুর’-এর পরিচালক। অভিনেতার মৃত্যুর দিন তাঁর ম্যানেজারের সঙ্গে হওয়া কথোপকথনও ফাঁস করলেন টুইটারে। সুশান্তের ম্যানেজারকে অনুরাগ বলেন, অভিনেতার প্রতি মনে ক্ষোভ জন্মেছিল তাঁর। কিন্তু এই ক্ষোভের কারণ কী? চ্যাটের পরের অংশ থেকে তিনি লেখেন, “মুকেশ আমাকে বলেছিল সুশান্ত আমার সঙ্গে ছবি করতে চায়। তারপর সুশান্ত নিজেই হঠাৎ সরে গেলো। আমাকেও ছবির কাজ বন্ধ করে দিতে হল।” তারপরের কথায় কিছুটা আফসোস প্রকাশ পায়। পরিচালক লেখেন, “হয় তো ওঁর সঙ্গে আমার কথা বলা উচিত ছিল। এ ভাবে রাগ জমিয়ে রাখা ঠিক হয়নি। ও যাতে শান্তি খুঁজে পায় এটাই কামনা করি।” এরপর তিনি সুশান্তের পরিবার এবং দিদিরও খোঁজ নেন।
পরিচালক জানান, এই চ্যাট শেয়ার করতে ‘বীভৎস’ লাগছে তাঁর। কিন্তু এগুলোকে লুকিয়ে রাখাও আর ঠিক মনে হচ্ছিল না।
রিয়ার গ্রেফতার কি এরকম আরও অনেক অজানা তথ্যই সামনে নিয়ে আসবে? অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, সুশান্তের উপর জমে থাকা ক্ষোভ থেকেই কি এ সব করছেন অনুরাগ? তবে কোনও কথাকেই তোয়াক্কা না করে রিয়ার জন্য লড়াই করে চলেছেন পরিচালক।