সলমন খান ও বিবেক ওবেরয়। ছবি-সংগৃহীত।
কেরিয়ারের মধ্যগগনে পৌঁছেও থমকে যেতে হয়েছিল অভিনেতাকে। ‘সাথিয়া’, ‘প্রিন্স’, ‘মাস্তি’— একের পরে এক সফল ছবির পরও দীর্ঘ দিন বলিউড থেকে দূরে থাকতে হয়েছিল তাঁকে। বি-টাউনে তাঁর সঙ্গে সলমন খানের কলহের কথা প্রায় সকলেরই জানা। ভাইজানের থেকে হুমকিও পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন। এই বিষয়ে এ বার মুখ খুললেন বিবেক ওবেরয়ের বাবা সুরেশ ওবেরয়।
কঠিন সময়ে কী ভাবে নিজেকে সামলেছিলেন বিবেক, তা নিয়ে খোলাখুলি কথা বললেন সুরেশ। অভিনেতা বলেন, “ওর শক্তি আছে বলেই ও পেরেছে এই সময়টা কাটিয়ে উঠতে। অন্য কেউ হলে এই সময়ে সারা দিন মদ্যপ হয়ে পড়ে থাকত অথবা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ত। সবাই ওর বিরুদ্ধে চলে গিয়েছিল। সংবাদমাধ্যম, ইন্ডাস্ট্রির মানুষজন, এমনকি অভিনেতারাও ওর বিপরীতে ছিল। খুব তাড়াতাড়ি কেউ সাফল্য পেয়ে গেলে অন্যরা সেটা মেনে নিতে পারে না।”
সলমনের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে বিবেকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান ঐশ্বর্য রাই। এই নিয়েই সলমনের সঙ্গে সমস্যার সূত্রপাত। এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিবেক জানিয়েছিলেন, সলমন ফোন করে তাঁকে হুমকি দিচ্ছেন। পরে সলমনের কাছে এই নিয়েও এক অ্যাওয়ার্ড শোয়ে ক্ষমাও চেয়েছিলেন বিবেক। সেই সময়ে কী ভাবে একের পর এক কাজ হারিয়েছিলেন, তা নিয়ে কথাও বলেছিলেন বিবেক।
গত বছর এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে বিবেক বলেছিলেন, “বহু অবাঞ্ছিত বিষয় আমায় সহ্য করতে হয়েছে।” সর্বশেষ ছবি ‘শুট আউট অ্যাট লোখান্ডওয়ালা’-র পরে টানা ১৪ মাস বাড়িতে বসেছিলেন বিবেক। হাতে তাঁর কোনও কাজ ছিল না। এই সময়কে জীবনের সবচেয়ে অন্ধকার দিক হিসেবেও তিনি মনে করেন।