সুমন দে এবং সুরভি সান্যাল।
আনন্দবাজার অনলাইনকেই প্রথম খবর জানিয়েছিলেন ধারাবাহিক ‘নকশিকাঁথা’র নায়ক সুমন দে। মনের মানুষ খুঁজতে তিনি পাত্র-পাত্রী সাইটে নাম লিখিয়েছেন! অভিনেতা পাত্রের খোঁজ পেয়ে অজস্র পাত্রী নাকি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু মনের মতো সঙ্গিনী পাননি সুমন। শেষমেশ হবু বৌয়ের খোঁজ পেলেন এক বিয়েবাড়িতে। সেখানেই মুখোমুখি দু’জনে!
পাত্রীও অভিনেত্রী। নাম সুরভি সান্যাল। টেলিপাড়ায় কি আগে দেখাসাক্ষাৎ হয়েছিল? কালার্স বাংলার নতুন ধারাবাহিক ‘তুমি যে আমার মা’-এর নায়কের দাবি, টেলিপাড়া দূরের কথা, শিলিগুড়িতে এক পাড়ার বাসিন্দা তাঁরা, সেটাই জানতেন না! এক বিয়েবাড়িতে বন্ধুর সূত্রে আলাপ। তখন নাকি সুরভির দিকে কটমট করে তাকিয়েওছিলেন অভিনেতা। বন্ধুর মারফতই জানতে পারেন, সুরভিও উত্তরবঙ্গের মেয়ে। এর পরেই ফেসবুকে অভিনেত্রীর পিছু নেন ছোট পর্দার নায়ক। দেন বন্ধুত্বের বার্তাও। সেই শুরু। অতিমারির সময় দু’জনের হাতেই কাজ নেই। সুমন-সুরভি ঠিক করেন একসঙ্গে বাড়ি ফিরবেন।
তত দিনে বন্ধুত্ব গভীর হয়েছে। কিছু দিন পরেই ছিল সুমনের জন্মদিন। ‘ক্ষীরের পুতুল’ ধারাবাহিকের ‘রাজামশাই’ সেই প্রথম নিজের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তাঁর ‘হবু রানি’কে! সুরভিকে এক দেখায় পছন্দও করেছিলেন সুমনের মা। সে সময়ে বাধা দিয়েছিলেন অভিনেতা নিজেই। তিনি তো তখনও সুরভির মন পড়েননি! যদি নায়িকা রাজি না হন?
ঘটনাচক্রে ফের তিন মাথা এক দে-বাড়িতে। এ বার সুরভির দায়িত্ব দে পরিবারের লোকনাথ বাবার পুরনো মূর্তি রং করে নতুনের মতো করে দেওয়ার। মাত্র ১০ মিনিটে সেই কাজ সেরে উঠতেই সুমনের মা আহ্লাদে আটখানা। ভাল লেগেছিল সুমনেরও।
এর পরে আর নিজেকে আটকে রাখেননি। সুরভিকে জানিয়েছিলেন মনের কথা। বলেছিলেন, ‘‘তুমি আমার গার্লফ্রেন্ড হবে?’’ সুরভি ‘হ্যাঁ’ বলতে দ্বিতীয় বার ভাবেননি।
এখন তাঁর গিন্নিপনায় মুগ্ধ দে পরিবার। কী দেখে সুমনে মজলেন সুরভি? লাজুক হেসে অভিনেত্রীর দাবি, ‘‘ওর বাইকে চড়ে দেখা করতে আসা আমায় ‘কবীর সিং’ ছবির কথা মনে পড়িয়ে দিত। পর্দার ‘কবীর সিং’য়ের মতোই সারা ক্ষণ আমার খেয়াল রাখে। সুমনের মনটা সত্যিই সু!’’
কেমন মানিয়েছে সুমন-সুরভি জুটিকে? দেখে নিতে পারেন জি বাংলার ‘দিদি নম্বর ১’-এ।