প্রসেনজিৎকে ‘রগড়ে’ দেবেন পুতুলরানি!
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে শাসাচ্ছেন সোহিনী সেনগুপ্ত! তাও আবার দিলীপ ঘোষের ভাষায়!
একদা রাজ্যের বিজেপি সভাপতির ‘রগড়ে দেব’ বাণী তোলপাড়া করেছিল রাজ্য রাজনীতি। ২০২১-এ ‘নিজেদের মতে, নিজেদের গান’ মিউজিক ভিডিয়োয় একটি গান ছিল, “আমি অন্য কোথাও যাব না, আমি এই দেশেতেই থাকব।” অনির্বাণ ভট্টাচার্যের লেখা সেই গানে অংশ নিয়েছিলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, সব্যসাচী চক্রবর্তী, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, কৌশিক সেন, রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো টলিউড তারকারা। তাঁদের ধমকাতেই দিলীপ ঘোষ বিখ্যাত কথাটি বলেছিলেন। সেই কথা ‘আয় খুকু আয়’ ছবিতে বিধায়ক পুতুলরানি বাগচী বলবে ‘নির্মল মণ্ডল’ ওরফে প্রসেনজিৎকে।
পুরোটাই সচেতন ভাবে? আনন্দবাজার অনলাইন জানতে চেয়েছিল পরিচালক শৌভিক কুণ্ডুর কাছে। তাঁর সাফ জবাব, ‘‘যা করেছি সজ্ঞানে করেছি। বিখ্যাত নয়, বলুন কুখ্যাত সংলাপ। জেনেবুঝেই সেই সংলাপ ধার নিয়ে ব্যবহার করেছি ছবিতে।’’ দিলীপ ঘোষের বক্তব্যে সে দিন প্রতিবাদে ফেটে পড়েছিলেন বাংলা বিনোদন দুনিয়ার সমস্ত ব্যক্তিত্ব। কথাটা কতটা বিঁধেছিল তাঁদের, দর্শকদের সেটা শোনাতেই কি ছবিতে এই সংলাপের ব্যবহার? পরিচালক এ বারেও স্পষ্টবক্তা, কোনও মানুষ বা কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দল নয়, সামগ্রিক রাজনৈতিক অবস্থা কোথায় পৌঁছেছে সেটাই রাজ্যবাসীদের বোঝাতে ছবিতে ছোট্ট উদাহরণ রেখেছেন। তাঁর মতে, একে ‘রাজনৈতিক কটাক্ষ’ও বলা যেতে পারে।
‘বুম্বাদা’র এই সংলাপ খুবই পছন্দের। রবিবার স্টার থিয়েটারের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তাঁর রসিকতা, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের চোখে চোখ রেখে এমন সংলাপ বলার সাহস একমাত্র রুদ্রপ্রসাদ-স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত-কন্যাই দেখাতে পারেন। সংলাপ বলার সময়ে সোহিনীর অনুভূতি কী? পর্দার ‘পুতুলরানি’র দাবি, ‘‘অভিনেতাদের কোনও বিষয়ে ছুঁৎমার্গ থাকতে নেই। নিজস্ব পছন্দ-অপছন্দও নয়। তাই যখন সংলাপটি বলতে বলা হয়েছিল আমি দ্বিধাহীন ভাবেই বলেছি। এবং আমিও সচেতন ছিলাম বিষয়টি নিয়ে। দিলীপ ঘোষের কথা আমার মুখের সংলাপ।’’ তার পরেই হাসতে হাসতে দাবি, পুরোটাই টিমের সবাই ভীষণ উপভোগ করেছেন।
বিধায়কের মুখের এই বিতর্কিত সংলাপকে সেন্সর বোর্ডও অনায়াসে ছাড় দিয়ে দিল? পরিচালকের যুক্তি, ‘‘এটা কি হীরক রাজার দেশ? কেউ কোনও স্বাধীন মত প্রকাশ করতে পারবে না!’’