গ্ল্যামারে হার মানাবেন অনেক নায়িকাকেই। কিন্তু কোনও দিন অভিনয়ে আগ্রহ দেখাননি। বরং ভালবাসেন ব্যক্তিগত জীবন সন্তর্পণে আড়ালে রাখতে। অথচ নেটিজেনরা হন্যে হয়ে খুঁজে চলেন তাঁর প্রোফাইল। তাঁর তারকা ভাইয়ের বিয়েতে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গিয়েছিল তাঁর ছবি। তার পর থেকেই রিতিকা ভাবনানীকে নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে।
এক বর্ধিষ্ণু ব্যবসায়ী পরিবারে আজকের মুম্বইয়ে রিতিকার জন্ম ১৯৮৩-র ৫ অগস্ট। তাঁর বাবা জগজিৎ সিংহ ভাবনানী ছিলেন রিয়েল এস্টেট টাইকুন। মা, অঞ্জু ভবনানী গৃহবধূ। দেশভাগের পরে এই সিন্ধি পরিবার করাচি থেকে ওয়াঘার এ পারে চলে এসেছিলেন।
রিতিকার ঠাকুমা চাঁদ বার্ক প্রথম জীবনে ছিলেন অভিনেত্রী। তাঁর প্রথম ছবি ‘কহাঁ গয়ে’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৪৬ সালে। রাজ কপূরের ‘বুট পলিশ’ ছবিতেও অভিনয় করেন তিনি। চাঁদ প্রথমে বিয়ে করেছিলেন পরিচালক নিরঞ্জনকে। তাঁর দ্বিতীয় স্বামী সুন্দর সিংহ ভাবনানী। তাঁদেরই নাতনি রিতিকা। ঠাকুমার অভিনয়-ধারার ব্যাটন নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন রিতিকার ভাই।
যতই মহাতারকা হয়ে যান না কেন, রিতিকার ভাই এখনও দিদির ছোট্ট ভাই হয়েই থাকতে ভালবাসেন। দিদিকে তিনি ‘লিটল মাম্মা’ বা ‘ছোট মা’ বলে ডাকেন। আর মাকে বলেন ‘বিগ মাম্মা’ বা ‘বড় মা’।
রিতিকার থেকে তাঁর ভাই দু’বছরের ছোট। শুটিং-এর জন্য বিশ্বের যে প্রান্তেই ভাই থাকুন না কেন, তাঁর কাছে পৌঁছে যায় রিতিকার পাঠানো রাখি, টিক্কা আর ‘খরচি’ বা টাকা।
মুম্বইয়ের স্কুল এবং কলেজ থেকেই পড়াশোনা রিতিকার। তাঁর বর্তমান পেশা সম্বন্ধে বিশেষ জানা যায় না। ভাইয়ের বিয়ে হয়ে গেলেও এখনও বিয়ে করেননি রিতিকা। কারও সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়েও কিছু জানা যায়নি।
দিদি তাঁকে ছোটবেলায় খুব চকোলেট উপহার দিতেন। তাই, কড়া ডায়েটিং থাকলেও তিনি এখনও মিষ্টি খেতে খুব ভালবাসেন, জানিয়েছেন রণবীর সিংহ— রিতিকার সেলেব-ভাই।
রণবীর-দীপিকার বিয়েতেই রিতিকার ছবি ইন্টারনেটে আসে। তাঁর সাজ ও ব্যক্তিত্বে নেটিজেনরা মুগ্ধ। রুচিসম্মত অথচ জমকালো সাজে রিতিকার ছবি মন জয় করেছিল নেটিজেনদের।
রণবীর-দীপিকা জুটির গ্ল্যামারের ছটায় রিতিকা কিন্তু ম্লান হয়ে যাননি। বরং উদ্ভাসিত ছিলেন নিজের দ্যুতিতেই। সঙ্গীত, মেহেন্দি-সহ বিয়ের সব পর্বে দীপিকার পাশে তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি।
রণবীর তাঁর দিদিকে খুব শ্রদ্ধা করেন। জীবনের বিশেষ মুহূর্তে বাড়ির অন্য গুরুজনদের সঙ্গে দিদিকেও প্রণাম করে তাঁর আশীর্বাদ নেন। ননদ রিতিকার সঙ্গে দীপিকার সম্পর্কও বেশ ভাল।