ছেলে কর্ণ শুধু নয়, বাবা ধর্মেন্দ্রর সঙ্গেও পর্দা ভাগ করতে দেখা যাবে তাঁকে। -ফাইল চিত্র
একসঙ্গে অনেক অনেক ছবির প্রস্তাব— এই তো চেয়েছিলেন সানি দেওল! তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ হয়ে গেল এ বছরই। বছর শেষে ঝুলিভর্তি কাজ অভিনেতার। আর বালকির পরিচালনায় ‘চুপ’ মুক্তির পর অন্য স্বাদ পেয়েছেন সানি। বর্তমানে ঝুলি উপচে পড়ছে ‘সুরিয়া’, ‘বাপ’, ‘আপনে ২’, ‘গদর ২’ এবং আরও একগুচ্ছ কাজে। ‘চুপ’-এ দর্শক তাঁকে অন্য রকম চরিত্রে দেখেছেন। সে ধরনের আরও অনেক ছকভাঙা অভিনয় করতে চাইছেন ধর্মেন্দ্র-পুত্র। এক সাক্ষাৎকারে জানালেন, আর বালকির সঙ্গেও আবার কাজ করতে চান।
সানির কথায়, “মনে হচ্ছে আমার কেরিয়ারের সবচেয়ে ফুরফুরে সময় এটাই। যখন চিত্রনাট্যের গভীরতা দেখে আমি নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারছি। যে চরিত্র আগে কখনও করিনি, তেমন কাজ করতে পারছি। শিল্পী হিসাবে এই সব কিছুই আমায় সুখী করছে।’’
১৯৮৪ সাল। ‘বেতাব’ ছবি দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন সানি। হাতে থাকা বহু ছবির মধ্যে বর্তমানে ‘গদর’ এবং ‘আপনে ২’-এর সিক্যুয়েল নিয়ে ব্যস্ত অভিনেতা, যাতে ছেলে কর্ণ শুধু নয়, বাবা ধর্মেন্দ্রর সঙ্গেও পর্দা ভাগ করতে দেখা যাবে তাঁকে। জীবনে প্রথম বার এমন হতে চলেছে বলে রোমাঞ্চিত অভিনেতা।
সেই সঙ্গে জানান, ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ ছবির চাপ এসে পড়লে সেটা চাপই মনে হয় না যে! আগে একটা সময় ছিল, যখন চেহারার আড়ালে ঢাকা পড়ে যেত চরিত্ররা। এখন শুধু তাঁকেই দেখা যাবে, দাবি সানির। বললেন, “সে সময়ে একঘেয়ে লাগত আমায় পর্দায়। আড়াই কিলো ওজনের এক একটা হাত আর দশাশই চেহারা ছায়া ফেলে যেত চরিত্রে। দর্শকের মনে দাগ কাটতে পারিনি, কারণ কেউ আমায় দেখেননি। সেই ভাবমূর্তি ভাঙার এটাই ঠিক সময়। আর টিকে থাকার লড়াই নয়, অভিনেতা হয়ে ডানা মেলতে চাই।”
সানি জানান, নতুন দিনের অপেক্ষায় রয়ছেন। অনেক নতুন নতুন কাজ করে আবেগ এবং উন্নত জীবনদর্শনের মধ্যমে চলচ্চিত্রকে অন্য ভাবে আবিষ্কার করতে চান অভিনেতা।