সানির বুদ্ধ্যঙ্ক হার মানায় আইনস্টাইনকে! ছবি: সংগৃহীত।
এই মুহূর্তে একের পর এক নজির গড়ছে ‘গদর ২’। বহু বছর পর এমন সাফল্যের মুখ দেখলেন অভিনেতা। ৫০০ কোটির ক্লাবে ঢুকেছে সানির ছবি। বক্স অফিসে নিজের জমি শক্ত করার পাশাপাশি আলোচনাতেও ফিরেছেন সানি। এখন রীতিমতো সুপারস্টার তিনি। তবে তাঁর জীবনে ব্যর্থতাও রয়েছে অনেকে। যার মধ্যে অনত্যম তাঁর যন্ত্রণাদায়ক শৈশব। এক সময় সামান্য লেখাপড়া করতেও নাকি বেশ বেগ পেতে হয়েছিল তাঁকে। কারণ, ছোটবেলায় ডিজ়লেক্সিয়ায় ভুগেছেন সানি। এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল, তবে নিজের বুদ্ধ্যঙ্কের (আইকিউ) কথা বলেই হাসির খোরাক হলেন অভিনেতা।
সম্প্রতি একটি পডকাস্ট শো-এ যান সানি। সেখানেই অভিনেতা বলেন, ‘‘ছোটবেলায় লেখাপড়া করতে গেলেই বেগ পেতাম। শব্দগুলো তালগোল পাকিয়ে যেত। আমাকে বলা হয়েছিল টেলিপ্রম্পটার ব্যবহার করতে। যাতে আমার কথা বলতে অসুবিধা না হয়। কিন্তু আমি বলি, আমাকে বলে দিন কী বলতে হবে, আমি মনে রেখে দেব।’’
এর পর সঞ্চালক তাঁকে জিজ্ঞেস করেন যে, সেই সময়টা তাঁর জন্য ঠিক কতখানি কঠিন ছিল। অভিনতা জানান, তাঁর বুদ্ধ্যঙ্ক যথেষ্ট বেশি ছিল। প্রায় ১৬০। সানির কথায়, ‘‘স্কুলে যখন আমার পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল, তখন আমার আইকিউ ১৬০-এর বেশি ছিল।’’ অভিনেতার মন্তব্যে হতবাক হয়ে যান সঞ্চালকও। অভিনেতার কথা মানলে, তাঁর বুদ্ধ্যঙ্ক স্বনামধন্য বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের থেকেও বেশি। আইনস্টাইনের বুদ্ধ্যঙ্ক ছিল ১৬০-এর বেশি। সেই জন্যই তিনি জিনিয়াস। সানিরও নাকি ১৬০-এর বেশি বুদ্ধ্যঙ্ক। তার পর থেকেই হাসির রোল নেটপাড়ায়। কেউ বলেছেন, “আইনস্টাইনকে দিয়ে ওপেনহাইমার ক্যালকুলেশন করাতেন, আর আইনস্টাইন সেই অঙ্ক বা ক্যালকুলেশন নিয়ে সানি পাজির কাছে আসতেন।” আর এক ব্যক্তি লেখেন, “আড়াই কিলোর আইকিউ।” কেউ আবার লিখেছেন, “ছোটবেলায় ১৬০ ছিল এবং এখন ১.৬০ হয়ে গিয়েছে।” অভিনেতা নিজের অজান্তেই খোরাক এখন।