বক্স অফিসে ফাঁকা বলিউডের কাউন্টার, কারণ দর্শালেন সুনীল শেট্টি। ছবি: ফেসবুক।
অতিমারির প্রকোপ কিছুটা কমার পরে পেরিয়েছে একটা গোটা বছর। সময় লাগলেও আস্তে আস্তে জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টায় বিনোদন জগৎ। লকডাউনের সময়ে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের সৌজন্য আমূল পাল্টে গিয়েছে বিনোদনের ধরন। ‘সিনেমার ক্ষেত্রে বড় পর্দার আবেদন আজও একই রকম আছে’— এই ভাবনার উপর ভরসা করে ফের প্রেক্ষাগৃহে ছবিমুক্তির জন্য ঝাঁপিয়েছেন ছবির নির্মাতা ও পরিচালকরা। তবে সে গুড়ে বালি! গত এক বছরে ব্যবসার নিরিখে বক্স অফিসে বার বার মুখ থুবড়ে পড়েছে একের পর এক হিন্দি ছবি। এখন কার্যত ফাঁকা কাউন্টারে মাছি মারছে বলিউডের বক্স অফিস।
কিন্তু কেন? লকডাউনে বিনোদনের ধরন ও দর্শকের চাহিদা বদলেছে বটে। তবে, মানুষ তো আর সিনেমাবিমুখ হননি। বরং সংখ্যাতত্ত্ব ঘাঁটলে দেখা যাবে, অতিমারির সময়ে রমরমিয়ে ব্যবসা করেছে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাওয়া একাধিক সিরিজ়। তা হলে গলদ কোথায়?
‘‘বড় পর্দায় আবর্জনা দেখার জন্য দর্শক টাকা খরচ করবেন না’’, সাফ বক্তব্য নব্বইয়ের দশকের সুপারহিট বলিউড নায়ক সুনীল শেট্টির। তিনি আরও বলেন, ‘‘শুধু তাবড় তারকাদের পারিশ্রমিকে টাকা খরচ না করে নির্মাতাদের ছবির পিছনে খরচ করা উচিত’’। ছবির গুণগত মান সম্পর্কে বলতে গিয়ে ‘ধড়কন’ খ্যাত অভিনেতার মন্তব্য, ‘‘সিনেমা নির্মাতারা এই ইন্ডাস্ট্রির ব্যবসা ও অর্থনীতির দিকটা না বুঝলে ছবি সফল হওয়া মুশকিল’’।
তবে শুধু অসুস্থতার কথাই বলেননি সুনীল শেট্টি, বলিউডের এই অসুখের ওষুধও বাতলে দিয়েছেন অভিনেতা। ‘‘ভাল গল্প বলার দিকে নজর দিতে হবে, তবেই দর্শক ছবিকে গ্রহণ করবেন’’, মত তাঁর।
নিজে এক সময় ‘ধড়কন’, ‘হেরা ফেরি’র মতো সুপারহিট ছবিতে কাজ করেছেন। তা সত্ত্বেও এখন নিয়মিত বলিউডে দেখা যায় না তাঁকে। কেন? ‘‘নিজের ভুলে দর্শককে হারিয়েছি। ভুল করে শিক্ষা হয়েছে আমার,” উত্তর ‘রেফিউজি’ অভিনেতার। ‘‘অন্য কোনও দিকে নজর না দিয়ে শুধু মাথার পিছনে টাকা খরচ করে কাঠামো কখনওই দাঁড়ায় না, বলিউডেও তাই হচ্ছে”, বলছেন অভিনেতা।