সুদীপা চট্টোপাধ্যায়।
দুর্গাপুজোর পর দীপাবলি। ফের জমজমাট চট্টোপাধ্যায় বাড়ি। এ বারেও আসরের মধ্যমণি সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গী হবু বৌমা হিন্দোলা চক্রবর্তী। সারা বাড়ি আলো দিয়ে সাজানো, অতিথিদের দেখভাল সবই করতে হয়েছে। তার মধ্যেই ফাঁক খুঁজে নাচে-গানে বাজিমাৎ শাশুড়ি-বৌমার! তৈরি হয়ে গেল রিল ভিডিয়ো। নেপথ্যে ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’!
যুগের হুজুগ মেনে প্রায়ই রিল ভিডিয়োয় দেখা যায় পরিচালক অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের ঘরনিকে। কখনও তিনি একাই। কখনও দোসর একরত্তি ছেলে আদিদেব। এই প্রথম হিন্দোলা আর তিনি এক সঙ্গে এক ফ্রেমে। বৌমা বন্ধু? আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে অকপট ‘রান্নাঘর’-এর কর্ত্রী— ‘‘আমার থেকে মাত্র ৬-৭ বছরের ছোট! কী বলব ওকে? ও এমনিতেই আমার বন্ধু।’’
মুম্বইবাসী হিন্দোলাই আপাতত সুদীপার সাজ-গুরু! “এখনকার রূপটান নিয়ে হিন্দোলার বিস্তর জ্ঞান। ওর থেকেই নির্দ্বিধায় চুল হাইলাইট করতে শিখেছি। হালফিলের সাজসজ্জা শিখছি,” মুক্তকণ্ঠে প্রশংসায় হবু শাশুড়ির। নতুন কোনও প্রসাধনী বাজারে এলেই নাকি হিন্দোলা ছবি তুলে তাঁকে পাঠান। জানাচ্ছেন সুদীপা নিজেই।
‘বন্ধু’ হিন্দোলা বৌমা হিসেবে কেমন? এক কথায় শংসাপত্র দিয়েছেন সুদীপা। তাঁর দাবি, ‘‘প্রচণ্ড বুদ্ধিমতী মেয়ে। আমার মতো আবেগসর্বস্ব নয়। বাস্তববোধ প্রখর। আমি বড্ড অভিমানী। হিন্দোলা যুক্তি দিয়ে সব কিছু ধরিয়ে দেয় এখনই।’’ এ বার চট্টোপাধ্যায় বাড়ির পুজোয় কোমর বেঁধে অতিথি আপ্যায়নে নেমে পড়েছিলেন অগ্নিদেব-পুত্র আকাশের হবু স্ত্রী। তাই দেখে পরিবারের আশা, আগামী দিনে সুদীপার মতো পাকা গৃহিণী হয়ে উঠবেন হিন্দোলাও।