সেপ্টেম্বরে মুক্তি পাচ্ছে ‘আজকের শর্টকাট’।
সবাই বলছেন, বাংলায় বেকার সমস্যা ঘিরে আর্থিক দুর্নীতি। চাকরি দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকার লেনদেন! অথচ নচিকেতা চক্রবর্তী চুপ কেন? শাসক দল জড়িত বলে?
গায়কের হয়ে শুক্রবার জবাব নিয়ে হাজির পরিচালক সুবীর মণ্ডল। আনন্দবাজার অনলাইনকে প্রথম জানিয়েছেন, এ বার আর গান নয়, বাংলার জ্বলন্ত সমস্যা বেকারত্বকে গল্পে বেঁধেছেন নচিকেতা। নাম ‘শর্টকাট’। তাকে ক্যামেরাবন্দি করেছেন সুবীর। এই প্রথম তাঁর বড় পর্দার জন্য ছবি ‘আজকের শর্টকাট’। বর্তমান প্রজন্ম কী ভাবে চটজলদি লক্ষ্যে পৌঁছতে চায়? তারই গল্প বলেছেন গায়ক। যাকে পর্দায় জীবন্ত করবেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়-গৌরব চক্রবর্তী। সুবীরই পশ্চিমবঙ্গের বিনোদন দুনিয়ায় প্রথম বার নিয়ে আসছেন বাংলাদেশের নায়িকা অপু বিশ্বাসকে। গৌরবের বিপরীতে দেখা যাবে তাঁকে।
অস্কার মনোনীত ছবি ‘লায়ন’-এর কলকাতা অংশের শ্যুট তাঁর তত্ত্বাবধানেই হয়েছিল। সুবীর তত দিনে একাধিক তথ্যচিত্র বানিয়ে ফেলেছেন। ২০১৮ সাল। নচিকেতা চক্রবর্তীর গল্প নিয়ে ছবি করার ভাবনা প্রথম মাথায় আসে পরিচালকের। যেমন ভাবা, তেমনই কাজ। ছবির শ্যুট শেষ ২০১৯-এ। মুক্তির ঠিক আগেই অতিমারি। টানা দু’বছরের অপেক্ষা। অবশেষে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে একসঙ্গে দুই বাংলায় মুক্তি পেতে চলেছে ‘আজকের শর্টকাট’। প্রযোজনায় করমণ্ডল।
ছবির গল্পের দুই স্তম্ভ দুই মেরুর বাসিন্দা। বিশু বস্তির ছেলে। তার ঝুপড়ির পাশেই বহুতল। সেখানে থাকেন গৌরব। বিশুর চরিত্রে অভিনয় করছেন পরমব্রত। বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ প্রায় প্রতি দিন ভারতে চিকিৎসা করাতে আসেন। তাঁদের নিয়েই এই গল্প। বাংলাদেশ থেকে আসা তেমনই এক তরুণীর চরিত্রে অপু। ঘটনাচক্রে যাঁর আলাপ হবে গৌরবের সঙ্গে। পরিচালকের কথায়, ‘‘অপুর সঙ্গে গৌরবকে ভারী সুন্দর মানিয়েছে। বিশেষ করে গানের দৃশ্যে চোখ ফেরাতে পারবেন না দর্শক।’’ একই ভাবে পরমব্রতকে দেখেও চমকে যাবেন সবাই। এ রকম চরিত্রে তাঁকেও কেউ দেখেননি। ঘটনার অভিঘাতে নির্দিষ্ট সময়ের পরে সমান্তরাল খাতে বইবে দুই ভিন্ন মেরুর বাসিন্দার জীবন। কী ভাবে? সেটাই গল্পের মূল আকর্ষণ।
বিধাননগর, রাজারহাট, নিউটাউনে ছবির শ্যুট হয়েছে। চিত্রনাট্য, সংলাপে সুগত সিংহ। তিন তারকা ছাড়াও ছবিতে রয়েছেন সুমন্ত মুখোপাধ্যায়, চন্দন সেন, শঙ্কর দেবনাথ, রাজশ্রী ভৌমিক, বিশ্বনাথ বসু, পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়, অনিন্দিতা বসু প্রমুখ। গানের দায়িত্বে কাহিনিকার স্বয়ং।
আনন্দবাজার অনলাইন কথা বলেছিল নচিকেতার সঙ্গেও। গায়ক না লেখক, এখন কোন পরিচয়ে বেশি খুশি শিল্পী? নচিকেতার কথায়, ‘‘গায়ক নচিকেতাকে সবাই চেনেন। লেখক নচিকেতাকেও এ বার সবাই চিনবেন। ভাল লাগছে।’’ নিজের লেখা গল্পের চিত্ররূপ। কোনও দিন শ্যুটিং দেখতে গিয়েছিলেন? মৃদু হেসে গায়কের জবাব, এই ছবিতে তিনি অভিনয়ও করেছেন। তবে শ্যুটে অংশ নেওয়ার থেকে শ্যুটিং দেখা নাকি বেশি মজার!