দেবশ্রীর জন্মদিন আরও বিশেষ করে তুললেন শুভশ্রী।
ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টা ছোঁওয়ার আগেই শুরু হয়েছে উদ্যাপন। বন্ধুদের আনা কেক কেটে জীবনের নতুন বছরে পা রেখেছেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের দিদি অভিনেত্রী দেবশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। তার পর রাতটুকু পেরনোর অপেক্ষা। সকালের আলো ফুটতেই নিজের বিশেষ দিনটা সব চেয়ে প্রিয় মানুষের সঙ্গে ভাগ করে নিতে রওনা দিয়েছেন নিউটাউন থেকে বাইপাসের পথে। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বললেন, “আমার জন্মদিনটা ইউভানকে উৎসর্গ করেছি। সকাল থেকে আমি শুভদের (অভিনেত্রী শুভশ্রী) বাড়িতেই ছিলাম। ওখানে সবাই খুব আপন করে নিয়েছে আমাকে। সারাটা দিন ওদের সঙ্গে থেকেছি।”
জন্মদিনে দেবশ্রীর জন্য বাহারি সব রান্না করেছিলেন শুভশ্রী, তাঁর শাশুড়ি এবং ননদ। পাঁচ রকমের ভাজা, মাছ, মাংস, পোস্ত — কী নেই তালিকায়! শেষ পাতে মিষ্টিমুখ হয়েছে ক্ষীর দিয়ে। একরত্তি ইউভানও ‘মাম্মাম’-কে জন্মদিনে উপহার দিয়েছে। “এমনিতে ও শুভ বা ন্যানি ছাড়া কারও কাছে জামা বদলায় না। আজ কোনও কান্নাকাটি না করেই লক্ষ্মী ছেলের মতো আমার কাছে জামা বদলে নিল, এর থেকে বড় উপহার আর কী হতে পারে!”, হেসে উঠলেন দেবশ্রী। একটু থেমে বললেন, “ও-ই আমার মন খারাপের সঙ্গী। খারাপ সময়ে ওর মুখের দিকে তাকিয়ে সাহস পাই।”
শুভশ্রীর বাড়িতে জন্মদিনের ভোজ সারছেন দেবশ্রী।
সদ্য ঝড় বয়ে গিয়েছে দেবশ্রীর জীবনে। গত জুন মাসে স্বামী অমিত ভাটিয়ার বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন, প্রতারণা-সহ একাধিক মামলা দায়ের করেন তিনি। ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন দেবশ্রী এবং অমিত। দেবশ্রীর দাবি, বিয়ের দু’মাসের মধ্যেই অমিত এবং তাঁর মা দীপালি ভাটিয়া শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন শুরু করেন। অভিনেত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হলেও পরবর্তী সময়ে জামিন পেয়ে যান দেবশ্রীর স্বামী। অভিনেত্রীর কথায়, “জামিন পেয়ে যাওয়ায় খারাপ লাগছে। আমার মতো আরও অনেক মেয়ের ক্ষতি করতে পারে ও। তবে লড়াই এখানেই শেষ নয়। দেখা যাক কী হয়। আমি হাল ছাড়তে রাজি নই।”
এক দিকে ব্যক্তিগত জীবনের টানাপড়েন, অন্য দিকে একের পর এক কাজ। সব মিলিয়ে এখন বেজায় ব্যস্ত দেবশ্রী। ‘আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা’ ছবির শ্যুট শেষ করেছেন। কথা চলছে পরবর্তী ছবি নিয়ে। “আমি এত রকম কাজ নিয়ে রয়েছি যে, জীবনের খারাপ কোনও ঘটনা নিয়ে ভাবার সময় নেই। এক ছেলের মা আমি। তার দায়িত্বও আমার উপরে। বিয়ে ভেঙেছে বলে কান্নাকাটি করা আমার কাছে বিলাসিতা”, উত্তেজনা দেবশ্রীর গলায়।
ভেঙে পড়তে চান না দেবশ্রী। জীবনের এক একটা ধাপ পার করে ফেলছেন কাছের মানুষদের নিয়ে। আনন্দ খুঁজে নিচ্ছেন প্রিয়জনদের রান্নায়, ছেলের থেকে উপহার পাওয়া নতুন শাড়ি আর একগুচ্ছ গোলাপের সুবাসে।