Subhashree Ganguly

‘ধর্মযুদ্ধ’র ফাঁকেই মহালয়ার ভোরে মহিষাসুরমর্দিনী শুভশ্রী

এবার তিনি মহিষাসুরমর্দিনী এবং উমা।শনিবার, মহালয়ার দিনভোর পাঁচটায়জি বাংলার ‘বারো মাসে বারো রূপে দেবীবরণ’ প্রোগ্রামে বারোটি দেবীরূপের মধ্যে এই দুই রূপে পাওয়া যাবে তাঁকে।‘ধর্মযুদ্ধ’ শুটের ব্যস্ততার ফাঁকে অবসর খুবই কম।দু’টি দৃশ্যের শুটের মাঝে কয়েক মিনিট কথোপকথন।ধরা দিলেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। এবার তিনি মহিষাসুরমর্দিনী এবং উমা। শনিবার, মহালয়ার দিনভোর পাঁচটায়জি বাংলার ‘বারো মাসে বারো রূপে দেবীবরণ’ প্রোগ্রামে বারোটি দেবীরূপের মধ্যে এই দুই রূপে পাওয়া যাবে তাঁকে।‘ধর্মযুদ্ধ’ শুটের ব্যস্ততার ফাঁকে অবসর খুবই কম।দু’টি দৃশ্যের শুটের মাঝে কয়েক মিনিট কথোপকথন।ধরা দিলেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়।

Advertisement

মৌসুমী বিলকিস

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৭:১২
Share:

মহিষাসুরমর্দিনী শুভশ্রী।

আপনি জি বাংলার ‘দেবীবরণ’-এ ঠিক কী করলেন?

Advertisement

দেবীরূপে অভিনয় করলাম। উমা এবং মহিষাসুরমর্দিনী।

Advertisement

আগেও তো দেবীরূপে অভিনয় করেছেন?

ফার্স্ট টাইম এক্সপিরিয়েন্স ডেফিনিটলি নয়। হ্যাঁ, আগেও বহুবার দেবীরূপে অভিনয় করেছি।

তাহলে আপনার কাছে এই মহালয়ার নতুনত্ব কী?

এ বছরের প্রোগ্রামটা একেবারেই নতুন করে ভেবেছে জি বাংলা। সেজন্য ওদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। বারো মাসে বারোটা রূপে দেবীর গল্প। এরকম করে কনসেপ্টচুয়ালাইজ করাটা আমার কাছে অভিনব মনে হয়েছে।

আরও পড়ুন-আমি মিতিন মাসি, রানে আমার পার্থ মেসো: কোয়েল

আপনি দেবীরূপে যা যা করলেন তার মধ্যে কিছু আছে যা আপনার কাছে স্পেশাল?

দেবীরূপে, মানে মহিষাসুরমর্দিনী রূপে যে ফাইট সিকোয়েন্স সেটা আমার জন্য খুবই প্রিয় সিকোয়েন্স। ‘হারনেস’ পরে ফাইট সিকোয়েন্স হয়েছে। প্রপার ফাইট সিকোয়েন্স যেমন হয় আরকি। তো এটা আমার কাছে খুবই স্পেশাল।

উমারূপে শুভশ্রী

আপনি লাল কস্টিউমে মহিষাসুরমর্দিনী রূপেআবির্ভূত হচ্ছেন দেখলাম ছবিতে।

হ্যাঁ। কস্টিউম করেছে স্যান্ডি। স্যান্ডি ইজ অ্যান এক্সপার্ট। বহু বছর ধরে কাজ করছে। সেই জায়গা থেকে খুবই ভাল কাজ করেছে ও। বিষয়টা সুন্দর করে ভেবেছে।

দেবীরূপে অভিনয় করলে কেমন অনুভূতি হয়?

অ্যাকচুয়ালি, ছোটবেলা থেকে যখনই মহালয়া দেখতাম তখনই ভাবতাম যদি এরকম আমিও করতে পারি। ভাবতাম, আমিও দেবীরূপেঅভিনয় করব। যখন প্রথম বার অফার এসেছিল তখন মা দুর্গাকে থ্যাঙ্কস জানিয়েছিলাম এবং বুঝেছিলাম, সত্যিই মন থেকে যদি কিছু চাওয়া হয় তাহলে অবশ্যই পাওয়া যায়। এবারে অনেক বছর পর দেবীরূপে অভিনয় করলাম। খুবই দারুণ একটা অনুভূতি হল।

ভারি অ্যাক্সেসারিজ পরে মহিষাসুরমর্দিনীর ভূমিকায়।কী মনে হল?

অনেকক্ষণ দেবীরূপে সেজে থাকাটা খুবই ডিফিকাল্ট। বিকজ এখনকার দিনের মেয়েরা এত অ্যাক্সেসরিজ ব্যবহার করে না। আমি তো নরম্যাল লাইফে একেবারে কিছুই অ্যাক্সেসরিজ পরি না। সেখানে অত বড় ভারী একটা মুকুট থেকে শুরু করে পুরো সাজটাই জুয়েলরি দিয়ে।তার ওপর এগুলো পরে ফাইট সিকোয়েন্স করতে হল। সেটার একটু কষ্ট তো আছেই। কিন্তু পারফরম্যান্স করতে গিয়ে আর্টিস্টকে একটু কষ্ট তো করতেই হয়।তো আলটিমেটলি যখন দর্শক দেখেন এবং সেটা নিয়ে প্রশংসা পাই তখন সব কষ্টগুলো দূর হয়ে যায়।

ছোটবেলায় রেডিয়োতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহালয়া শুনতেন অভিনেত্রী

‘দেবীবরণ’ বিষয়ে দর্শকের কাছে আপনার এক্সপেকটেশন কী?

মনে হয় না ‘দেবীবরণ’ নিয়ে দর্শকের কাছে আলাদা কিছু এক্সপেকটেশন আমার আছে। কারণ আমি জানি যে এখনও অব্দি মহালয়ার ক্রেজটা দর্শকের মধ্যে থেকে গেছে। সবাই ভোর পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠে মহালয়ার দিন টেলিভিশনে মহালয়া দেখতে চায়। আগে ভোরবেলা থেকে রেডিয়োতে মহালয়া শুনত মানুষ।এখন অডিয়োর সঙ্গে ভিডিয়ো যোগ হয়েছে। অডিও ভিজুয়াল মহালয়াও মানুষের প্রিয় হয়ে উঠেছে।আমার মনে হয় এই ক্রেজটা সারা জীবন থেকে যাবে এবং সেটাই হওয়া উচিত। সব মিলিয়ে এক্সপেকটেশন অবভিয়াসলি হাই। এই ব্যাপারটা কখনও পুরনো হবে না। এটাও আমি জানি।

আরও পড়ুন-বিয়ে ভাঙার পর আবার নতুন সম্পর্কে প্রিয়ঙ্কার ভাই! কী বললেন নায়িকা?

আপনার মহালয়া শোনার বা দেখার অভিজ্ঞতা কেমন?

আমি ছোটবেলায় রেডিয়োতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহালয়া শুনতাম। ভোর চারটে থেকে শুরু হত। ভোর তিনটেয় আমরা সবাই ঘুম থেকে উঠে পড়তাম। তারপর বাজি ফাটিয়ে আনন্দ করতাম। চারটে বাজার আগেই রেডিয়ো চালিয়ে তার সামনে বসে পড়তাম। রেডিয়োর মহালয়া শুনতাম। আবার পাঁচটা থেকে টেলিভিশনে মহালয়া দেখতাম। তখন বর্ধমানে থাকতাম। আমরা কাজিনরা প্রতি বছর নিয়ম করে এটা করতাম। সারা বছর ওই দিনটার জন্য অপেক্ষা থাকত আমাদের।আনন্দের একটা আবহাওয়া ছড়িয়ে পড়ত বাড়িতে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement