তনিমা সেন ও রক্তিম সামন্ত। নিজস্ব চিত্র।
আকাশে আষাঢ়-শ্রাবণের ইলশেগুঁড়ি। মাছে-ভাতে বাঙালির পাতে রকমারি ইলিশ। রান্নাঘরে দই ইলিশ, ভাপা ইলিশ, ডিমের টকের ম ম গন্ধ। ঘরে ঘরে জমিয়ে ইলিশ পার্বণ। ঠাম্মিও বেজায় ব্যস্ত তাঁর একমাত্র নাতি গোপালের মুখে রকমারি ইলিশের পদ তুলে দিতে। তাঁর ‘রান্নাবান্না’তেও তাই রুপোলি শস্যের ছোঁয়া।
খবর, ঠাম্মি তনিমা সেন নাকি ইলিশের দারুণ দারুণ পদ রেঁধে খাওয়াচ্ছেন নাতি গোপাল, থুড়ি রক্তিম সামন্তকে। তালিকায় কী থাকছে জানেন?
উঁহু, সর্ষে ইলিশ, দই ইলিশ, মাছের ডিমের বড়া বা ডিমের টক নয়, পাতে পড়ছে গ্রিন সস অ্যান্ড বেকড ইলিশ, কুমড়ো পাতায় ইলিশ ফ্রাই, টক ঝাল ইলিশের মতো একদম ভিন্ন স্বাদের অনেক কিছু। আরও ভাল খবর, এই ইলিশ পার্বণ শুধুই ঠাম্মি আর গোপালের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। স্টার জলসা তাকে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে ‘রান্নাবান্না’ কুকারি শো-র মধ্যে দিয়ে।
আরও পড়ুন: ড্রাইভার করোনা আক্রান্ত, পরিবারের সদস্যদের করোনা টেস্টের কথা জানালেন সারা আলি খান
সাত দিনের এই মহাভোজে যেমন অংশ নেবেন সাধারণ দর্শক, শো স্টপার হিসেবে দেখা যাবে চৈতি ঘোষালকে। ইলিশের মরসুম এলে তাঁর বাড়িতে রান্না হয় কাঁচা আম দিয়ে ভাপা ইলিশ। সেই পদ নিজের হাতে তিনি এই শো-তে রেঁধে শেখাবেন।
স্টার জলসার এই বিশেষ শোয়ের প্রযোজক উইন্ডোজ প্রোডাকশন। সংস্থার পক্ষ থেকে জিনিয়া সেন বললেন, ‘‘এ বছর কলকাতার বাজারে উপচে পড়ছে মাছ। লকডাউনের জেরে নদী, সমুদ্রে জেলেরা না নামায় মাছের চালান ভাল। দামও সাধ্যের মধ্যে। প্রতি বছর এই সময়ে হোটেলে ইলিশ উৎসব হয়। এ বারে সেখানেও ইতি। তাই বাড়ি বসে যাতে মানুষ রুপোলি শস্যের অজানা স্বাদ নিয়ে পারেন তার জন্যই এক সপ্তাহ জুড়ে ইলিশের মহাভোজের আয়োজন। জিরে, লাউপাতা, আনারস ইত্যাদির মতো একদম ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে তৈরি প্রতিটি পদ আশা করি দর্শকেরা বাড়িতে রেঁধে খেয়ে তৃপ্তি পাবেন।’’
আরও পড়ুন: কোভিড টেস্টের জন্য বাড়িতে মুম্বই পুরসভার কর্মীদের ঢুকতে দিলেন না রেখা
বিকেল চারটের সময় স্টার জলসা খুললেই দেখতে পাবেন এই উৎসব। চলবে ১৮ জুলাই পর্যন্ত।