Srijit Mukherji

‘অতি উত্তম’ অধ্যায় টলিউডের, সৃজিতের ছবির নায়ক স্বয়ং উত্তম কুমার 

বাকি ছবির মতো অন্য কোনও অভিনেতাকে দেখা যাবে না তাঁর ভূমিকায়। কী ভাবে এই অসম্ভবকে সম্ভব করলেন সৃজিত? 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২১ ০৪:৩০
Share:

সৃজিত মুখোপাধ্য়ায় এবং উত্তম কুমার 

বাংলা ছবির ‘অতি উত্তম’ অধ্যায় শুরু হচ্ছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে।

Advertisement

নতুন ছবি তৈরি করছেন জাতীয় পুরস্কার জয়ী পরিচালক। ছবির নাম ‘অতি উত্তম’। নায়ক উত্তম কুমার। তবে বাকি ছবির মতো অন্য কোনও অভিনেতাকে দেখা যাবে না তাঁর ভূমিকায়। স্বয়ং মহানায়কই অভিনয় করবেন নিজের চরিত্রে।

এই ছবির গল্প বোনা হয়েছে মহানায়ক এবং তাঁর এক একনিষ্ঠ ভক্তকে কেন্দ্র করে। সেই ভক্ত ব্যক্তিগত জীবনে প্রেমজনিত সমস্যায় পড়লে প্রিয় নায়কের দ্বারস্থ হয়। হবে নাই বা কেন! কারণ উত্তমই তো বাঙালির ‘কিং অব রোম্যান্স’। ভক্তকে উদ্ধার করতে সেই সময় প্রকট হন স্বয়ং মহানায়ক।

Advertisement

কিন্তু কী ভাবে এই অসম্ভবকে সম্ভব করলেন সৃজিত?

পরিচালক জানালেন, উত্তম কুমারের ৫৪টি ছবি ফুটেজ নিয়ে ভিএফএক্সের মাধ্যমে আরও একবার পর্দায় জীবন্ত করে তোলা হবে তাঁকে। মহানায়কের হাঁটাচলা, কথা বলা, নানা ধরনের অভিব্যক্তি এ ভাবেই ফের ফুটিয়ে তোলার পরিকল্পনা করেছেন সৃজিত। এই ছবিতে দর্শকের সঙ্গে বেশ কিছু নতুন মুখের পরিচয় করাবেন সৃজিত। অনিন্দ্য সেনগুপ্ত, রোশনি ভট্টাচার্য এবং জিনা তরফদার রয়েছেন সেই তালিকায়। উত্তম কুমারের নাতি গৌরব চট্টোপাধ্যায়কেও দেখা যাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায়। এ ছাড়াও থাকবেন লাবণী সরকার এবং শুভাশিস মুখোপাধ্যায়।

টানা ৩ বছর ধরে ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন সৃজিত। তার সঙ্গেই চলেছে উত্তম কুমারের ছবি নিয়ে নানা গবেষণা। পরিচালকের প্রথম ছবি ‘অটোগ্রাফের ১০ বছর পূর্তিতে এই ছবি মহানায়কের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধার্ঘ্য। সৃজিতের কথায়, ‘‘অটোগ্রাফ যেমন সত্যজিৎ রায় এবং উত্তমবাবুর প্রতি ট্রিবিউট ছিল, উত্তম কুমারের একনিষ্ঠ ভক্ত হিসেবে তাঁকে এই ছবির মাধ্যমে ফের ট্রিবিউট দিচ্ছি।”

রহস্যে মোড়া গল্প থেকে বেরিয়ে এই প্রথম ‘রোম্যান্টিক কমেডি’ তৈরি করেছেন সৃজিত। তবে পুরনো বিষয়গুলিকে নতুন আঙ্গিকে পেশ করার অভ্যাসকে সঙ্গে নিয়ে চলেছেন পরিচালক। যেমনটা আগে দেখা গিয়েছে ‘গুমনামি’, ‘জাতিস্মর’-এর মতো ছবিতে। পরিচালক বললেন, “অতীতের গর্ভেই ভবিষ্যতের জন্ম। স্বামী বিবেকানন্দ বলে গিয়েছেন এ কথা। মানুষ এমনিতেও করোনার জন্য ভীত, সন্ত্রস্ত। আমি এমন একটা গল্প বলতে চেয়েছি যা মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে হলে ফেরার জন্য। আমি যাঁর শরণাপন্ন হয়েছি, তিনিই একমাত্র এই কাজটি সম্ভব করতে পারবেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement