কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজ
মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন শ্রীময়ী চট্টরাজ। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে আত্মসমর্পণ অভিনেত্রীর, ‘‘বাড়ির লোকের কাছে মুখ দেখাতে পারছি না! এখনও শ্যুট শুরু হয়নি আমার। কিন্তু সেখানেই বা যাব কী করে? মুখ দেখাব কী করে? রবিবার রাত থেকে খাওয়া, ঘুম বন্ধ আমার।’’ তাঁর দাবি, ইন্ডাস্ট্রির কোনও সুদর্শন, সুপুরুষ নায়কের সঙ্গে জড়িয়ে গুঞ্জন রটলে তবু মানা যেত। শেষ পর্যন্ত তাঁর ‘দাদা’ কাঞ্চন মল্লিককে নিয়ে মিথ্যে রটনা! সেই নিয়ে কাঞ্চনদার বৌ পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে কাদা ছুঁড়ছেন। পাশাপাশি, ভুয়ো গুজবের কারণে নেটমাধ্যমেও কটাক্ষের শিকার অভিনেত্রী। ‘আপনি পরের সংসারে আগুন ধরাচ্ছেন, ঘর ভাঙছেন’, এই ধরনের মন্তব্য তাঁকে শুনতে হচ্ছে, এমনই দাবি তাঁর। আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে তেমন কিছু মন্তব্যের ছবিও ভাগ করে নিয়েছেন শ্রীময়ী।
পরবর্তী পদক্ষেপ কী শ্রীময়ীর? তিনি জানিয়েছেন, শনিবার তাঁর সঙ্গেও অমানবিক আচরণ করেছেন পিঙ্কি এবং তাঁর দাদা। শ্রীময়ীর জবাব, ‘‘আপাতত সোমবার অর্থাৎ আজ একটি ভিডিয়ো বিবৃতি ভাগ করে নেব আমার সামাজিক পাতায়। সামনে আনব প্রকৃত সত্য। আমার সঙ্গে কাঞ্চন মল্লিকের সুস্থ সম্পর্ক, সেটাও জানাব।’’ তাঁর কথায়, এক্ষুণি কোনও লিখিত অভিযোগ করবেন না তিনি। তবে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে আইনি পথে সমস্যার সমাধান করতে চান শ্রীময়ীও।
শ্রীময়ীর আরও দাবি, কাঞ্চন এই রটনা শুনে প্রথমে হেসে ফেলেছিলেন। বলেছিলেন, ২৫ বছরের অভিনয় জীবনে কাউকে নিয়ে কোনও দিন রটনা হল না। আজ সেটাও শুনতে হচ্ছে তাঁকে। তিনি সেই সময় অভিনেত্রীকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ এড়িয়ে যেতে। কিন্তু সংবামাধ্যমের কাছে পিঙ্কি মুখ খোলার পরেই পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোরালো হতে থাকে। তার মধ্যেই শনিবার বধূ নির্যাতনের অভিযোগ এনে নিউ আলিপুর থানায় এফআইআর দায়ের করেন পিঙ্কি। রবিবার রাতে অবশেষে আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে প্রথম মুখ খোলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক। জানান, তাঁরও অনেক কিছু বলার আছে। তবে সবটাই তিনি করবেন আইনি পথে। একই সঙ্গে রবিবার রাতে তিনিও পিঙ্কি এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন চেতলা থানায়।