অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র
অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের একটি ছবি দেখে মুগ্ধ জনৈক নেটাগরিক। অনেকের মতো তিনিও প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তাই মন্তব্য বাক্সে লিখলেন, ‘হট, বিউটিফুল, অ্যান্ড এস..ওয়াই শ্রীলেখা মিত্র।’ তাঁর মন্তব্য থেকে স্পষ্ট, সেই নেটাগরিক ‘সেক্সি’ লিখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শব্দটি লিখতে সম্ভবত অস্বস্তি বোধ করেছেন তিনি। তাই মাঝের দু’টি অক্ষর ‘ই’ এবং ‘এক্স’ লেখেননি। যাতে পুরোপুরি উচ্চারণ না করা হয়। ঠিক যেমন কোনও ছবির সংলাপে গালিগালাজ থাকলে টেলিভিশনে সেটির উপরে ‘বিপ’ আওয়াজ বসিয়ে দেওয়া হয়। দর্শকদের কানে যাতে না পৌঁছোয়।
কিন্তু শ্রীলেখা মিত্র সেই মহিলাকে উদ্দেশ্য করে লিখলেন, ‘সেক্সি লিখলে না কেন? কোনও শব্দের সঠিক প্রয়োগ সবসময়ে প্রশংসা হিসেবে চিহ্নিত হয়।’ তার পরেই সেই মহিলা তাঁর মন্তব্যটি একটু কেটেছেঁটে ‘এস..ওয়াই’-এর বদলে ‘সেক্সি’ করে দিলেন। শুধু তাই নয়, আরও একটি মন্তব্য করলেন নেটাগরিক। লিখলেন, ‘আপনি সবসময়ই সেক্সি এবং প্রশংসনীয়।’
শ্রীলেখার সঙ্গে নেটাগরিকের কথোপকথন
এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনকে শ্রীলেখা বললেন, ‘‘আসলে আমাদের এই দেশের মানুষেরা খুব সংশয়ে ভোগেন। যেখানে খাজুরাহো মন্দিরের অবস্থান, যেই দেশের ঋষি বাৎস্যায়নের হাতে কামসূত্র রচিত হয়েছে, তাঁদের মধ্যেই ‘সেক্স’ শব্দ নিয়ে এত ছুৎমার্গ। তার উপরে বিজেপি মানসিকতার মানুষদের দেখলে আরও অবাক হয়ে যাই। প্রোফাইল পিকচারে রামের ছবি, এ-দিকে মহিলাদের ছবিতে নোংরা মন্তব্য করতে ব্যস্ত।’’ শ্রীলেখার এ সব নিয়ে নাক সিঁটকানো নেই। তাঁর মতে, ‘সেক্সি’ শব্দটা যৌনতা সংক্রান্ত শব্দ নেই আর। কোনও ভাল কিছুকে এই শব্দ দিয়ে বিশেষিত করা হয়।
অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘বিশেষ করে এক জন মহিলার কাছ থেকে এ রকম প্রশংসা শুনে আমার ভাল লেগেছে। মেয়েরা মেয়েদের প্রশংসা করতে একটু কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগে সাধারণত। তাই এটা আমার কাছে বড় পাওনা।’’