‘বাবা বেবি ও....’
শহরের ‘সিঙ্গল ফাদার’দের হাততালিতে ভরে উঠল কলকাতার মাল্টিপ্লেক্স। ‘বাবা বেবি ও…’ ছবি দেখতে নিয়ে যাওয়া হল সেই বাবাদের, যাঁরা যিশু সেনগুপ্তের মতোই একা হাতে তাঁদের সন্তানদের বড় করে তুলেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোটা প্রেক্ষাগৃহ কেবল তাঁদের জন্যই।
‘অল বেঙ্গল মেন’স ফোরাম’-এর পক্ষ থেকে নন্দিনী ভট্টাচার্য বললেন, ‘‘ছেলে এবং পুরুষদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির মৌলিক পরিবর্তন আনতে চাই আমরা। ‘সিঙ্গল ফাদার’ এবং সারোগেসি সম্পর্কেও মানুষের নানা রকমের ধারণা রয়েছে। আমি যখন জানতে পারি, বাংলা ছবিতে এক সিঙ্গেল ফাদারের গল্প দেখানো হচ্ছে যিনি সারোগেসির মাধ্যমে পিতৃত্ব গ্রহণ করেছেন, তখনই আমার ফোরামের পুরুষ সদস্যদের জন্য একটি বিশেষ স্ক্রিনিং করার কথা ভাবলাম। কথা বললাম প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে।’’ বিশেষ স্ক্রিনিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী শোলাঙ্কি রায়। দর্শকদের অনুভূতি চোখের সামনে দেখে উৎফুল্ল ছবির ‘বৃষ্টি’।
একা হাতে দুই যমজ শিশুকে সামলানো। সহজ কথা নয়। পুরুষ হোন বা নারী। নিদ্রাহীন দিন এবং রাতের শুরুই বটে। কিন্তু সেই কাজটাই করে দেখালেন যিশু। দিন কয়েকের জন্যই হোক না কেন, তিনি সম্পূর্ণ ভাবেই হয়ে উঠেছিলেন মেঘ রোদ্দুর চট্টোপাধ্যায়। বাস্তবের ‘মেঘ’দের তাই এক জায়গায় নিয়ে এল উইন্ডোজ প্রোডাকশনস।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেলেও অরিত্র মুখোপাধ্যায় পরিচালিত, নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় প্রযোজিত ‘বাবা বেবি ও’ ছবি নিয়ে মাতামাতি এখনও কমেনি দর্শকদের মধ্যে। দুই শিশুশিল্পী কাইজান এবং অভিরাজের অভিনয়েও মুগ্ধ দর্শক।
সারোগেসির মাধ্যমে দুই পুত্রসন্তান পোস্ত আর পটলের বাবা হয়েছে চল্লিশোর্ধ মেঘ। তাদের বড় করতে করতেই তার থেকে প্রায় ২০ বছরের ছোট এক তরুণীর প্রেমে পড়ে সে। নাম শুনে মনে হবে, তাদের এক হওয়াই যেন ভাগ্যে লেখা। নারীচরিত্রের নাম, বৃষ্টি রায়। কিন্তু তার যে বিয়ে স্থির হয়ে রয়েছে অন্য পুরুষের সঙ্গে। সব মিলিয়ে জটিলতায় পূর্ণ এই ছবি দেখে মানুষের মনে একাধিক অনুভূতি জড়ো হয়েছে।