সৌরভের সঙ্গে আড্ডা দিলেন সৌরভ।
যা যা করেননি এত দিন, সে সবই করছেন ‘দাদা’! ব্যাটে-বলে আজীবন পারদর্শী তিনি। বিজ্ঞাপনী ছবিতেও পোক্ত। টানা ৯ বছর ধরে ছোট পর্দাতেও সমান দাপট। শনি ও রবিবারের রাত সাড়ে ন’টা তাঁর দখলে! সৌজন্যে ‘দাদাগিরি’। বাকি ছিল বড় পর্দায় অভিনয় আর রিল ভিডিয়ো। দ্বিতীয়টিও পূরণ করে ফেললেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। পুরোটাই ঘটল গৌরব রায়চৌধুরীর দৌলতে।
শনিবার জি বাংলা এমনই একটি ঝলক পোস্ট করেছে ইনস্টাগ্রামে। সেখানে ‘পিলু’ ধারাবাহিকের ‘আহির’-এর সঙ্গে রিলে মেতেছেন সৌরভ। আনন্দবাজার অনলাইনকে গৌরব জানিয়েছেন, ‘‘তারও আগে দাদার রূপটান ঘরে আড্ডা দিয়েছি। আধ ঘণ্টা!’’
গৌরব কি সৌরভের অতি পরিচিত? জানতে চেয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন। অভিনেতার সপ্রতিভ উত্তর, ‘‘না তো!’’ তার পরেই রিল ভিডিয়ো তৈরির নেপথ্য কাহিনি সবিস্তারে ব্যাখ্যা। তাঁর কথায়, ‘‘আগের দিন পুরুলিয়ায় ভূতুড়ে স্টেশন বেগুন কোদারে ‘পিলু’র একটি ট্রেনের দৃশ্য শ্যুট করে ফিরেছি। গত বছর অস্ত্রোপচারের পর আমার হাত এখনও পুরোপুরি ঠিক হয়নি। শ্যুট করতে গিয়ে সেই হাতেই চোট পেয়েছি। ফলে, শরীরটা ভাল লাগছিল না।’’ ফিরে এসে শোনেন পরের দিন ‘দাদাগিরি’তে অংশ নিতে হবে। প্রচারের উদ্দেশ্যে।
প্রতিযোগিতার শ্যুটে আসতেই ‘দাদা’ নিজে থেকে খোঁজখবর নেন অভিনেতার। বিস্তারিত শোনেন, কী ভাবে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেছেন। গৌরবের দাবি, ‘‘খেলার কথা মাথায় নেই। হারব না জিতব ভুলে গিয়েছি। ঠিকই করে নিয়েছিলাম, জীবনে এক বার সুযোগ পেয়েছি। সামনে থেকে ভাল করে বাংলার ‘মহারাজ’কে দেখব।’’
সেটাই করেছেন তিনি। খেলা শেষে দেখা করার জন্য সৌরভের রূপটান ঘরে যান গৌরব। সঙ্গে সঙ্গে বিসিসিআই সভাপতির সাদর অভ্যর্থনা। জমিয়ে আড্ডা দেন দু'জনে। অভিনয় সম্পর্কেও জানতে চান সৌরভ। তখনই গৌরবের আবদার, ‘‘দাদা, আমার সঙ্গে দুটো রিলস বানাবে?’’ তিনিও এক কথায় রাজি। জানতে চান, কী করতে হবে। তার পরে বাকিটা ইতিহাস!