সৌমিতৃষা কুন্ডু।
এখনও জি বাংলার ‘মিঠাই’-এ সৌমিতৃষা কুন্ডুর ‘হাওয়া হাওয়াই’ পর্ব আসেনি। তার আগেই পর্দার ‘মিঠাই’ এডিট রুমে নিজের অভিনীত দৃশ্য দেখে তুমুল নাচছেন! তারই অংশ ছড়িয়ে পড়েছে রিল ভিডিয়োয়। ইনস্টাগ্রামে যে ঝলক দেখা যাচ্ছে, তাতে নাচের ছন্দে সৌমিতৃষা জানাচ্ছেন, তিনি স্বপ্নে দেখা রাজকন্যে। মেঘের মতোই ঘন তাঁর চুল। তিনি আড়মোড়া ভাঙলে বিদ্যুৎ চমকের মতোই সবার চোখ ধাঁধিঁয়ে যায়। সেই আকর্ষণেই সবার মনে তাঁর রাজত্ব।
ধারাবাহিকের টানা সাফল্যের নেপথ্য কারণও কি এটাই?
আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে সৌমিতৃষা জানাচ্ছেন, ‘‘মনে হচ্ছে মিঠাই তেমন কিছুই ঘটাচ্ছে। তাই মিঠাইয়ের সব কিছুই ভাল লাগছে দর্শকদের। রাগ, অভিমান, হাসি, রসিকতা সবটাই।’’ অস্বীকার করার উপায় নেই, ছোট পর্দার বড় বিস্ময় এখন ‘মিঠাই’। টানা ২ মাসেরও বেশি সময় ধরে বাংলার সেরা এই ধারাবাহিক! চলতি সপ্তাহেও সেই ফলাফলের হেরফের ঘটেনি। ‘মিঠাই’-এর জনপ্রিয়তার পাশাপাশি সৌমিতৃষার আরও একটি বড় পাওনা, দর্শক-অনুরাগীরা তাঁর সঙ্গে শ্রীদেবীর তুলনা করছেন!
ইতিমধ্যেই শ্রীদেবী আর সৌমিতৃষা অভিনীত দৃশ্যের একাধিক ছবি পাশাপাশি রেখে সেই তুলনায় মান্যতা দিয়েছে অভিনেত্রীর ফ্যান পেজ। প্রসঙ্গ উঠতেই সৌমিতৃষা জানালেন, তিনি সে কথা জানেন। তার পরেই অত্যন্ত বিনীত ভাবে বললেন, ‘‘এই ধরনের পোস্ট আমারও চোখে পড়েছে। তবে এরকম ভাবার সাহস আমার নেই।’’ কিন্তু পরিচালক যে ভেবেছেন! সম্ভবত সেই ভাবনারই প্রতিফলন ‘হাওয়া হাওয়াই’ গানে তাঁর অভিনয়।
সৌমিতৃষা মানতে নারাজ এ কথা। তাঁর মতে, পুরোটাই কাকতালীয়। বাস্তবেও তিনি অনেকটা মিঠাইয়ের মতোই। সারাক্ষণ ছটফট করেন। মজা করতে ভালবাসেন। যেরকম শ্রীদেবী তাঁর সমস্ত ছবিতেই করতেন। অভিনেত্রীর দাবি, মিঠাইয়ের সঙ্গে মানাবে বলেই পরিচালক রাজেন্দ্র প্রসাদ দাস এই গানটি ধারাবাহিকে ব্যবহার করেছেন।