সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
গভীর সঙ্কটে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। সোমবার হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে তাঁকে এনডোট্র্যাকিয়াল ইনটিউবেশন তথা ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। রক্তে অনুচক্রিকার পরিমাণের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে চিকিৎসকদের উদ্বেগে রেখেছে কিডনির অবস্থার অবনতি। রক্তে ইউরিয়ার পরিমাণও অনেক বেশি।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, প্রবীণ অভিনেতার এক্স রে রিপোর্টে নতুন প্যাচ দেখা দিয়েছে। আশঙ্কা, সেকেন্ডারি নিউমোনিয়া সংক্রমণের। অশীতিপর সৌমিত্র গত ২১ দিন ধরে মিন্টো পার্কের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আইসিইউ-তে তিনি রয়েছেন ১৮ দিন। বয়স এবং কো-মর্বিডিটি তাঁর চিকিৎসার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। রক্তে হিমোগ্লোবিন এবং অনুচক্রিকার পরিমাণ কম থাকায় আগেই করা হয়েছে ব্লাড ট্রান্সফিউশন। সেই সঙ্গে চিকিৎসকদের চিন্তায় রেখেছে তাঁর শরীরে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের তারতম্য।
করোনা আক্রান্ত অবস্থায় সৌমিত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত সপ্তাহে তাঁর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। চিকিৎসাতেও সাড়া দিতে থাকেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি তাঁর শারীরিক অবস্থা আবার সঙ্কটজনক হয়ে পড়ে। রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণে তারতম্য হওয়ায় মাঝে মাঝেই বায়োপ্যাপ সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই।
আরও পড়ুন: বিকল্প বামপন্থা, মোদীদের বিঁধে বিশ্বাস সৌমিত্রের
জটিলতা বাড়িয়েছে মস্তিষ্কে সংক্রমণ অভিঘাত (কোভিড এনসেফ্যালোপ্যাথি) এবং স্নায়বিক অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে তাঁর চেতনার মাত্রা ক্রমশ নামছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় রয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: গল্প শোনানো হবে সৌমিত্রকে
নতুন করে স্নায়ুরোগ সংক্রান্ত জটিলতা দেখা না গেলেও প্রবীণ শিল্পীর উদ্বেগজনক স্নায়বিক অবস্থা চিন্তায় রেখেছে চিকিৎসকদের। তাঁদের বক্তব্য, আচ্ছন্ন চেতনায় মস্তিষ্কে সংক্রমণের অভিঘাতে রোগীর বয়স ও আনুষঙ্গিক রোগগুলিই বিপজ্জনক হতে পারে।হাসপাতালের দাবি, স্নায়ুরোগ বিশারদ-সহ সব চিকিৎসক সৌমিত্রবাবুর চেতনা ফেরাতে ইনটিউবেশনের উপরে নির্ভর করছেন।