(বাঁ দিকে) সুজিত রিনো দত্ত, রাহুল মুখোপাধ্যায় (ডান দিকে)। ছবি: ফেসবুক।
দিন তিনেক আগের ঘোষণা। এসভিএফ প্রযোজনা সংস্থার পুজোর ছবি বানাবেন রাহুল মুখোপাধ্যায়। মুখ্য আকর্ষণ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য। এ ছাড়াও, কলকাতার এক ঝাঁক জনপ্রিয় অভিনেতা। ছবি নিয়ে জল্পনা যখন তুঙ্গে তখনই দুঃসংবাদ। ফেডারেশনের নিয়ম ভাঙার অভিযোগে তিন মাসের জন্য নিষিদ্ধ ‘দাদুর কীর্তি’-র পরিচালক। খবর, ফেডারেশনের তরফে এমনই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে তাঁকে। টলিউড যখন ছবির ভবিষ্যৎ জানতে উন্মুখ তখনই রাহুলের পাশে দাঁড়ালেন আর এক পরিচালক সুজিত রিনো দত্ত। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছ তাঁর প্রশ্ন, “নিয়ম ভাঙলে অবশ্যই শাস্তি হবে। কিন্তু রাহুলকে কি অন্য শাস্তি দেওয়া যেত না?”
আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে মুখ খোলার আগে সুজিত সমাজমাধ্যমেও একটি পোস্ট করেছেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে তাঁর বক্তব্য, “রাহুলকে চিনি। ওঁর লড়াই দেখেছি। গত তিন বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই জায়গায় উঠে এসেছেন। আগামী কাল অর্থাৎ সোমবার থেকে শুটিং শুরুর কথা। তার আগেই ফেডারেশনের এত বড় পদক্ষেপ। দেখুন, কেউ ওর পাশে নেই।”
সমাজমাধ্যমেও সে কথাই লিখেছেন ‘খাদান’-এর পরিচালক। তাঁর লেখনি অনুযায়ী, “আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচালক বাদ দিয়ে সবাইকে কাজ ধরতে হয়। কিন্তু পরিচালককে কাজটা ‘জেনারেট’ করতে হয় (টিভি সিরিয়াল বাদে)। সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির বাইরের বন্ধুরা এটা জানে না বলেই জানি। কিন্তু অবাক লাগে, যখন দেখি আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই এটা ভুলে যায়।”
সুজিতের আরও দাবি, আদতে ছবি পরিচালনা মানে পরিচালকের আয়ুক্ষয়। কারণ, এই পেশায় ২০০ শতাংশ নিষ্ঠাবান হতে হয়। তবে একটা ছবি জন্ম নেয়। প্রত্যেক পরিচালককে একটা অবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। তা ছাড়া, একটি ছবি তৈরির অর্থই হল অনেকগুলি মানুষের কাজের সুযোগ, অন্নসংস্থান। একটা নির্দেশে সব নষ্ট। হয়তো ছবির কাজ বন্ধ হবে না। অন্য পরিচালক দায়িত্ব পাবেন। কেবল রাহুলের পরিশ্রম বুঝি জলে গেল। সুজিতের দাবি, তিনি মনে করেন বসে আলোচনা করলে ঠিক একটা সমাধান বেরিয়ে আসতে পারত।