শোভিতা ধুলিপালা। ছবি: সংগৃহীত।
সৃজনশীল যে কারও প্রতিই গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে তাঁর। নিজে মডেলিং দুনিয়া থেকে এসেছেন অভিনয়জগতে। তাই মডেলিং থেকে আসা অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিছক ‘জৌলুস পুতুল’-এর মতো যখন দেখা হয় ইন্ডাস্ট্রিতে, তা মেনে নিতে পারেন না শোভিতা ধুলিপালা।
অভিনয় যেন জানেনই না তাঁরা, শুধুই রূপের জৌলুসে নজর কাড়েন— এমন ধারণা মেনে নিতে নারাজ অভিনেত্রী।
নিজে তাই অভিনয়দক্ষতায় শান দিয়ে যান। ‘মেড ইন হেভেন’ সিরিজ়ে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। মণি রত্নমের ছবি ‘পোন্নিয়ান সেলভান’-এও অভিনয় করেছেন শোভিতা। সব সময় জটিল মনস্তাত্ত্বিক চরিত্রে অভিনয় করতেই বেশি আগ্রহী তিনি।
শোভিতার কথায়, “আমি যখন কাজ শুরু করেছিলাম লোকে জানত, আমি মডেলিং দুনিয়া থেকে এসেছি। এ নিয়ে সচেতন ছিলাম। জানতাম, ইন্ডাস্ট্রি মডেলিংয়ের জগৎ থেকে আসা মানুষদের মেনে নেয় না। তাদের খালি সাজগোজ করা পুতুল মনে করে।”
শোভিতা জানান, সেই কারণেই এমন সব চরিত্র তিনি বেছে নিয়েছেন, যেখানে অভিনয়দক্ষতা প্রকাশ করার সুযোগ পাবেন। গোড়ার দিকে অনেক সিদ্ধান্ত এই ভেবেই তিনি নিয়েছেন বলে জানান।
তিনি বলেন, “পারফর্মিং আর্টসের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা আছে। আমি ভাল কাজ করতে চাই। প্রতি দিন উন্নতি করতে চাই নিজের। ”
অন্ধ্রপ্রদেশের তেনালিতে জন্ম অভিনেত্রীর। ২০১৩ সালে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় তিনি দ্বিতীয় হন। ওই বছরেই ফিলিপিন্সে তিনি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন আর এক প্রতিযোগিতায়।
২০১৬ সালে অনুরাগ কাশ্যপ পরিচালিত ‘রামন রাঘব ২.০’-এর মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় শোভিতার।
প্রাইম ভিডিয়ো সিরিজ় ‘মেড ইন হেভেন’-এ তাঁর কাজ প্রশংসিত হয়েছে। এই ছবিতে বিবাহ-পরিকল্পক তারা খন্নার চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
বেশ কিছু দক্ষিণী ছবিতেও দেখা গিয়েছে শোভিতাকে। এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “শুরুর দিকে মূলধারার ছবিতে তেমন সুযোগ পাইনি। যে সব কাজের সুযোগ এসেছে, তার মধ্যে থেকেই ভাল কাজ বেছে নিয়েছি। ”
ছবির জগতে টিকে থাকার লড়াইকে তিনি সাপলুডো খেলার সঙ্গে তুলনা করেন। তাঁর বক্তব্য, “যেই একটা হিট হল, আপনি উঠে গেলেন খানিকটা, আবার দুটো ফ্লপ হলেই নীচে পড়লেন। এ নিয়ে আক্ষেপের কিছু নেই।”
ডিজ়নি প্লাস হটস্টারের ‘দ্য নাইট ম্যানেজার’-এ সম্প্রতি দেখা গিয়েছে অভিনেত্রীকে। এর প্রথম পর্বে আদিত্য রয় কপূর, অনিল কপূরও রয়েছেন শোভিতার সঙ্গে।