জিতু-নবনীতা। ছবি: সংগৃহীত।
আজীবন স্ত্রীকে আগলে রাখার প্রতিশ্রুতি দিলেন অভিনেতা জিতু কমল। বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎই বিবাহবিচ্ছেদের কথা পোস্ট করে জানান অভিনেত্রী নবনীতা দাস। জিতুর সঙ্গে পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি করে নিজেদের আলাদা থাকার কথা জানিয়েছেন তিনি। নবনীতা অনেক কিছু লিখলেও জিতু চুপ ছিলেন। একাধিক বার ফোন করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। অবশেষে নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায় মুখ খুললেন অভিনেতাও। ‘সাধক বামাক্ষ্যাপা’ সিরিয়ালে নবনীতার মা তারার বেশের বেশ কিছু ছবি পোস্ট করে লেখেন, “তোমায় শুরুতেও আগলেছি, আজও আগলাব। আগামীতে তাই করব, বাচ্চা বউ।”
জিতুর এই পোস্ট দেখে অনুরাগীরা সংশয়ে। নবনীতার কথাকে সত্যি ধরলে বুঝতে হবে তাঁদের সম্পর্কে সত্যিই চিড় ধরেছে। আবার জিতুর লেখা পড়ে মনে হচ্ছে, এ যেন নিছকই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মান অভিমানের পালা চলছে। আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে জিতুর সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কোনও উত্তর মেলেনি। অভিনেতাকে মেসেজও করা হয়েছে। কিন্তু আসেনি জবাব।
বৃহস্পতিবার নবনীতা ফেসবুকে লেখেন, “টেবিলে দুটো প্লেট একসঙ্গে থাকবে না। টাওয়েল, সানস্ক্রিনের ভাগাভাগি হবে না। জানি এই পরিস্থিতি সামলানোর জন্য আমায় প্রস্তুত করে দিয়েছ তুমি। আমরা দু’জন দু’জনের সঙ্গে ভাল নেই.....প্রেম, বন্ধুত্ব, বিয়ে এই সব নিয়ে এক বর্ণময় অধ্যায়ের ইতিটা নয় এই ভাবেই হোক। ভাল থেকো জিতু।”
২০১৯ সালের মে মাসে ধুমধাম করে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। বিয়ের পরেই বড় পর্দায় অভিষেক হয় জিতুর। বর্তমানে টলিপাড়ার অন্যতম ব্যস্ত অভিনেতা তিনি। যে কোনও সাংবাদিক সম্মেলন হোক কিংবা বিদেশে শুটিং, সর্বত্রই জিতুর সঙ্গে দেখা যেত নবনীতাকে। এর মাঝে আচমকা কী ঘটল?
এ প্রসঙ্গে নবনীতা আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, “আমরা তিন মাস ধরেই আলাদা ছিলাম। এখন আমার পক্ষেও এটা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। মতের মিলও হচ্ছিল না অনেক বিষয়ে। জিতুর জীবনে কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না, বলতে পারব না। কিন্তু আমার হচ্ছিল। এই সিদ্ধান্তের আগেই আমার লন্ডন যাওয়া ঠিক হয়ে গিয়েছিল। এটা যে হেতু আমার প্রথম বিদেশ ভ্রমণ, টিকিট বাতিল করলে যদি পরবর্তী কালে কোনও সমস্যা হয়, তাই আমরা আর এই ট্রিপটা বাতিল করিনি।” এই মুহূর্তে নতুন সিরিয়ালের কাজ শুরু করেছেন নবনীতা। বিয়ের ফুল’ সিরিয়ালে তাঁকে দেখছেন দর্শক। সম্পর্কের টানাপড়েনের মাঝে আপাতত তিনি কাজেই মন দিতে চান।