স্মৃতি ইরানি। ছবি: সংগৃহীত।
স্মৃতি ইরানি। সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে শুরু করেন তাঁর কর্মজীবন। তাঁকে পরিচিতি দেয় টেলিভিশন। একতা কপূরের ‘কিঁউ কি সাস ভি কভি বহু থি’ সিরিয়ালে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করে প্রচারের আলোয় এসেছিলেন ছোট পর্দার তুলসী। রাতারাতি তাঁর জনপ্রিয়তা যেন আকাশ ছুঁয়ে ফেলে। সেই সময় একাধিক পানীয় ও পানমশলার বিজ্ঞাপনের প্রস্তাব পান। পারিশ্রমিক ছিল সিরিয়ালের তুলনায় দশ গুণ বেশি, তবু হেলায় ফিরিয়ে দেন স্মৃতি। কেন? খোলসা করলেন এ কালের দক্ষ রাজনীতিবিদ।
‘কিঁউ কি সাস ভি কভি বহু থি’-র আগেই অভিনেত্রী বিয়ে করেন জুবিন ইরানিকে। সেই সময় অর্থনৈতিক সচ্ছলতা একেবারেই ছিল না তাঁদের। স্মৃতির দাবি, সেই সময় তাঁদের ব্যাঙ্কে পড়ে রয়েছে মোটে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। তার উপর ছিল প্রায় ৩০ লাখ টাকার গৃহঋণ। ঠিক সেই সময় সুযোগ আসে একতার সিরিয়ালে। যদিও পরে স্মৃতি অভিযোগ করেন, যত টাকা পারিশ্রমিক পাওয়া উচিত ছিল, তার অর্ধেকও পাননি। এমন এক সময় একাধিক পানমশলার বিজ্ঞাপনের সুযোগ আসে স্মৃতির কাছে। সম্প্রতি এক পডকাস্ট শোয়ে ফেলে আসা দিনগুলির স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে স্মৃতি বলেন, ‘‘এক দিন আমি শুটিং করছি, সেটে এ জন ভদ্রলোক এসে পানমশলার বিজ্ঞাপনের প্রস্তাব দেন।
যে টাকার কথা বলা হয়েছিল, তাতে সেই সময় দাঁড়িয়ে আমার ঋণ শোধ করার পরও অতিরিক্ত কিছু থেকে যাবে। তবু সেই প্রস্তাব ফেরাই। কারণ আমার মনে হয়েছিল, আমাকে কত পরিবারের বয়স্করা, বাচ্চারা দেখেন। সেই সময় যদি হঠাৎ আমি এই ধরনের পণ্য বিক্রি করি, তা হলে তাঁদের ভাবাবেগে আঘাত দেওয়া হত। তাই সেই সময় একাধিক বিজ্ঞাপনের প্রস্তাব নাকচ করতে শুরু করি।’’ স্মৃতির করা তুলসী চরিত্রটি ঘরে ঘরে পরিচিতি পায়, দর্শক সেই সময় একাত্ম হয়ে যান তুলসীর সঙ্গে। তাঁর কষ্টে তাঁরা যেমন দুঃখ পেয়েছেন, তেমনই তাঁর অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার ঘটনা সমর্থনও করেছেন। এক কথায়, তুলসী চরিত্রের অভিঘাত এতটাই যে, তার প্রভাব লক্ষ করা যায় গোটা একটা প্রজন্মের মধ্যে। শেষে অভিনেত্রীর সংযোজন, ‘‘আমার ভাল লাগত এত মানুষ আমাকে তাঁদের পরিবারের সদস্য বলে মনে করতেন।’’ এক কথায় নিজের ভাবমূর্তির কথা ভেবেই এই ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত নেননি পর্দার ‘তুলসী’।