গায়িকা জোজো। ছবি: সংগৃহীত।
জি বাংলার গানের রিয়্যালিটি শো ‘সারেগামাপা’র সেটে তুলকালাম। শো-এর বিচারক জোজো মুখোপাধ্যায় বাদ্যযন্ত্রী ভুতোদাকে প্রকাশ্যে ‘আদর’ করেছেন। অর্থাৎ, ভালবেসে গালে চুমু খেয়েছেন। সেটা আবার ভিডিয়োয় বন্দি! সমাজমাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়তেই আর একপ্রস্ত হইচই। বরাবর গায়িকার অনেকের হৃদয়ে বসতি। তিনি সকলের সামনে গালে চুম্বন এঁকে দিচ্ছেন! বাদ্যযন্ত্রীর কী অবস্থা? তা-ও ভিডিয়োয় ধরা। শো-এর সঞ্চালক আবীর চট্টোপাধ্যায় দৌড়ে দেখতে গিয়েছিলেন, চুমু খাওয়ার পরে ভুতোদার নাড়ির গতি কতটা বেড়েছে। মাপতে গিয়ে ছিটকে সরে এসেছেন। উদ্বিগ্ন গলায় বলেছেন, “ওরে বাবা! নাড়ি প্রায় ১৮০ বেগে দৌড়চ্ছে।” এই '১৮০'টি কিলোমিটার, না কি মাইল, তা বোঝা না গেলেও সঞ্চালকের উক্তিতে শুনে জোজো হেসে খুন।
হঠাৎ কেন বাদ্যযন্ত্রীকে প্রকাশ্যে চুমু খেলেন গায়িকা? জোজোর কাছে প্রশ্ন রেখেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। রবিবাসরীয় অলস দুপুরে ততধিক আলস্য তাঁর কণ্ঠে। বললেন, “কয়েক দিন ধরে দাদা খুব ভাল বাজাচ্ছিলেন। সে দিন আর নিজেকে সামলাতে পারিনি। তাই বললাম, 'এসো তোমায় আদর করি'। আদতে চুমু খেয়ে তাঁর বাজনার প্রশংসা করেছি।” একটু থেমে যোগ করেছেন, “আমি তো এ রকমই। যাকে ভাল লাগে, যার কাজ ভাল লাগে, তাকে চুমু খাই! চুমু খাওয়া আমার কাছে খুবই স্বাভাবিক বিষয়।”
আবীর খুব ভাল সঞ্চালক। তা হলে আগামীতে কি তাঁর চুমু খাওয়ার পালা? আবীরকে ‘আদর’ করার পর কি জোজোর নাড়ির গতি বা হৃদস্পন্দন বাড়বে?
প্রশ্ন শুনে ফোনের ও পারে জোজোর অট্টহাসি। হাসি থামতে জবাব এল, “না, আবীরকে হয়তো না-ও চুমু খেতে পারি। বা খেলেও আমার কিছু হবে না।” তার পরেই ফাঁস, তাঁর নাড়ির গতি বাড়বে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের গালে চুম্বন দিতে পারলে! গায়িকার কথায়, “আমার বেড়ে ওঠা বুম্বাদাকে দেখে। ওঁর প্রতি প্রচণ্ড ক্রাশ। এক বার স্টুডিয়োর ফ্লোরে শুটিং করছি। দাদা এসেছিলেন কোনও কারণে। আমাকে দেখে ডান কাঁধ চাপড়ে জড়িয়ে ধরেছিলেন। ব্যস, আমি আনন্দে মেঘমুলুকে।”
গায়িকা জানিয়েছেন, তাঁর রূপসজ্জা শিল্পী পুরোটা দেখেছিলেন। তিনি জানতেন, জোজোর ক্রাশের কথা। রসিকতা করে বলেছিলেন, “এই রে! আগামী সাত দিন জোজোদি আর স্নান করবেন বলে মনে হয় না। ডান কাঁধটাও ছুঁতে দেবেন না কাউকে।”