দেবের এ বার বলিউড বিজয়? ছবি: ফেসবুক।
দেব বলিউডে, শুটিংয়ে ব্যস্ত। শনিবার রাত থেকে এই খবরে ছয়লাপ সমাজমাধ্যম। খবর নিয়ে এত চর্চার কারণ, দেব নিজে সে খবর সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন। তিনি একটি ছবি দিয়েছেন। মেকআপ ভ্যানে তাঁকে ঘিরে একদল নানা বয়সি নারী-পুরুষ। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, কোনও শুটিংয়ে ব্যস্ত তিনি। দেব বিবরণীতে লিখেছেন, “হ্যালো মুম্বই”। যোগ করেছেন, তিনি কোনও নরম পানীয়ের বিজ্ঞাপনী ছবির শুটিং করতে বলিউডে।
তাঁর এই কাজের খবর ছড়াতেই চর্চা অন্য একটি বিষয় নিয়ে। টলিউডের কৌতূহল, বছরের শেষ থেকে তাঁর খান দুই বাংলা ছবির শুটিং শুরুর কথা ছিল। সে দু’টি হচ্ছে না। তাই কি তিনি বলিউডে বিজ্ঞাপনী ছবির শুটিংয়ে? না কি, এ বার তিনিও বলিউডে সাম্রাজ্য ছড়ানোর ভাবনা নিয়েই এগোচ্ছেন?
দেবের থেকে কোনও সদুত্তর মেলেনি। তবে দেব বিজ্ঞাপনী ছবিতে এর আগেও কাজ করেছেন। কখনও পোশাকের, কখনও নরম পানীয়ের। পাশাপাশি, এর আগে দেব একাধিক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তিনি বড় সাম্রাজ্যের ‘প্রজা’ হয়ে থাকতে রাজি নন। তা হলে কি মত বদলালেন? আপাতত এই উত্তরও অধরা। টলিউড বলছে, এ বছর ‘টেক্কা’ আর ‘খাদান’ ছবি দু’টি নিয়েই সন্তুষ্ট সাংসদ-প্রযোজক-অভিনেতা। প্রসঙ্গত, ‘খাদান’ ছবিতে তিনি সৃজনশীল পরিচালক হিসেবে প্রথম কাজ করেছেন।
মুম্বইয়ে দেব। ছবি: দেব।
তবে আগামী বছর দু’টি নয়, সম্ভবত দেবের তিনটি ছবি ফ্লোরে যেতে পারে। একটি অভিজিৎ সেনের ছবি ‘প্রতীক্ষা’। অতনু রায়চৌধুরী আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, মিঠুন চক্রবর্তীর হাত ভাঙার কারণে এ বছর আর সে ছবির শুটিং হচ্ছে না। পাশাপাশি, নায়িকা নির্বাচনও বাকি। লন্ডনে ছবির সিংহভাগ শুটিংয়ের কথা। সেখানেও এখন বরফের মরসুম, তীব্র ঠান্ডা। সব মিলিয়ে তাই নতুন বছরে নতুন ছবির কাজ শুরু হবে।
চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন পরিচালক অরুণ রায়ও। তিনি আগের তুলনায় অনেক সুস্থ। এ বার তিনিও ফ্লোরে ফেরার ভাবনায় রয়েছেন। খবর, দেবের প্রযোজনায় তাঁকে নায়ক বানিয়েই গল্প বলবেন অরুণ। ছবিতে আবারও দেবের বিপরীতে সৃজা দত্তের মতোই নতুন নায়িকাকে দেখা যেতে পারে। এ বার আর পরিচালক নাকি বিষয় বদলাচ্ছেন। নতুন ছবিতে উঠে আসবে এমন কোনও ব্যক্তিত্বের কথা, যাঁকে নিয়ে ছবি বানানোর কথা কেউ কখনও ভাবেননি।
বাকি এসভিএফ প্রযোজনা সংস্থার ছবি ‘রঘু ডাকাত’। ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায় এই ছবিটিও নাকি শুটিং ফ্লোরে দেখা যেতে পারে আগামী বছর। ছবির কিছু লোকেশন বাছাই বাকি। একই সঙ্গে ছবির বাজেট নিয়েও আলোচনায় চলছে। এই কারণগুলিই সম্ভবত বারে বারে ছবি পিছিয়ে যাওয়ার কারণ।