লগ্নজিতা চক্রবর্তী। ছবি: ফেসবুক।
দেখতে দেখতে ৪৯ দিন পার আরজি কর-কাণ্ডের। জুনিয়র চিকিৎসকেরা ধর্নামঞ্চ ছেড়ে চিকিৎসা পরিষেবায় ফিরে গিয়েছেন। পরিষেবা নিয়ে তাঁরা পৌঁছে যাচ্ছেন বন্যাপ্লাবিত অঞ্চলেও। তা হলে কি সব আন্দোলন স্তিমিত? এমন ভাবনা অনেকের মনেই হয়তো উঁকি দিচ্ছে। বিষয়টি যে তেমন নয়, সে কথা জানিয়ে সম্প্রতি লগ্নজিতা চক্রবর্তী সমাজমাধ্যমে বার্তা ছড়ালেন। পাশাপাশি, ভিডিয়ো বার্তায় সকলকে আশ্বস্ত করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, প্রত্যেক দিন শহরে কিছু না কিছু কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এ ছাড়া, যাঁরা আন্দোলনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে যাঁরা যুক্ত তাঁরা জানেন, আন্দোলন চলছে। পাশাপাশি, আরও দুটো পথ দেখিয়েছেন গায়িকা। তাঁর কথায়, “আর বিচার চাইবার সময় নেই। এ বার বিচার দাবি করতে হবে। কারণ, স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে ন্যায় বিচার পাওয়া আমাদের জন্মগত অধিকার।”
লগ্নজিতা নিজে এই আন্দোলনের শুরু থেকে আছেন। প্রত্যেকটি অবস্থান, ধর্নামঞ্চে তাঁর উপস্থিতি সকলের নজর কেড়েছে। তিনি নিজেও নারী। সেই জায়গা থেকেই নির্যাতিতার জন্য ন্যায়বিচার চেয়ে পথে নেমেছেন। সেই অনুভূতি থেকেই তিনি শুধু এ টুকু বলেই থামেননি। লগ্নজিতার দাবি, “আন্দোলন জারি রাখতে যা যা করণীয় ঘর থেকেই তার সূচনা হওয়া উচিত। দাবির কথাটা যাতে সারা ক্ষণ আমাদের মনে থাকে তার জন্য যেখানে সুবিধে সেখানে কথাটা লিখে রাখা যেতেই পারে।” উদাহরণ হিসেবে তিনি শাড়িতে বড় হরফে ‘উই ডিম্যান্ড জাস্টিস’ কথাটি লিখে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। কিংবা বাড়ির বাইরের দেওয়ালে, বারান্দায় একই ভাবে এই দাবির কথা লেখা যায়, মত তাঁর। যাতে চলতে ফিরতে প্রত্যেকে লেখাটি দেখতে পান। সেই লেখাটি পড়ে যেন মনে রাখেন, আদতে প্রত্যেকের চাহিদা কী। কী কারণে ৪৯ দিন ধরে রাতদখল, পথদখল, আন্দোলন, প্রতিবাদে মুখর কলকাতা।
এই দুই পন্থা দেখানো ছাড়াও লগ্নজিতার আরও বক্তব্য রয়েছে। তাঁর কথায়, “ইতিহাস বলছে, রাতারাতি বদল আনা যেমন সম্ভব নয় রাতারাতি বিচার পাওয়াও যায় না। তার জন্য ধৈর্য ধরতে হয়। অপেক্ষা করতে হয়। আরজি কর-কাণ্ডও তার ব্যতিক্রম নয়।” এই জায়গা থেকে তাঁর মনে হয়েছে, যাঁরা ৪৯ দিন ধরে নির্যাতিতার জন্য বিচার চেয়ে রোজ পথে নামছেন তাঁদের আরও কিছু দিন ধৈর্য ধরতে হবে। দেশের বিচার বিভাগকে তদন্ত এবং বিচারের সময় দিতে হবে। সময়ের হাত ধরে ন্যায় আসবেই, এটা তাঁর বিশ্বাস।