ইমন ও নীলাঞ্জন। ছবি-সংগৃহীত।
নির্বাচনের আবহে সরগরম গোটা দেশ। পাঁচ রাউন্ড ভোটগণনার পরে দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আবহাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচনের ফলাফলের তাপমাত্রাও উর্ধ্বমুখী। শেষ পর্যন্ত ফলাফল কী হয়, সেটা দেখার অপেক্ষায় মানুষ। এই ভোটের আবহেই উত্তরবঙ্গে বেড়াতে গিয়েছেন গায়িকা ইমন চক্রবর্তী।
সেখান থেকেই স্বামী তথা সঙ্গীত পরিচালক নীলাঞ্জন ঘোষের সঙ্গে একগুচ্ছ ছবি সমাজমাধ্যমে শেয়ার করেছেন ইমন। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘‘তাপমাত্রা বাড়ছে দেশে। আজ তো একটু বেশি-ই। একটু ঠান্ডা ছবি দিলাম।’’
পাহাড়ে বেড়াতে গিয়েও কি নির্বাচনের ফলাফলের দিকে চোখ রেখেছেন ইমন? আনন্দবাজার অনলাইনকে গায়িকা বলছেন, ‘‘সকাল থেকেই আমরা খবর রাখছি নির্বাচনের ফলাফলের। নেট সংযোগ থাকলেই যেটুকু পারছি ভোটের ফলাফলের দিকে নজর রাখছি। এটা তো দেশের ফলাফল। তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’’
নির্বাচনের ফলাফল যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে কী মনে হচ্ছে? জিজ্ঞাসা করতেই গায়িকা জানান, ‘‘আমি আমার মতামত ভোটবাক্সে দিয়ে এসেছি। এখন জনতা জনার্দন। মানুষ যাঁদের ভাল মনে করেছেন, তাঁদেরই ভোট দিচ্ছেন। সেটা দেশের ক্ষেত্রেও, রাজ্যের ক্ষেত্রেও। জনতার উপরে তো আর কেউ নেই।’’
এক সময়ে কলেজে পড়তে বামেদের হয়ে সক্রিয় ছাত্র রাজনীতি করতেন ইমন। রাজ্যে এই মুহূর্তে সব কেন্দ্রেই পিছিয়ে আছে বাম শিবির। এই বিষয়ে ইমন বলছেন, ‘‘দেশের খবর বা রাজ্যের খবরাখবর রাখি। রাজনৈতিক বিষয় নিয়েও সচেতন থাকি। কিন্তু তা নিয়ে মতামত দিতে চাই না, কারণ রাজনীতি থেকে এখন আমি বহু দূরে থাকি। সেখানে নিজেকে বসিয়ে কিছু ভাবতেও চাই না।’’
উত্তরবঙ্গের কিছু প্রত্যন্ত (অফবিট) স্থানে বেড়াতে গিয়েছেন ইমন। সেই প্রসঙ্গে গায়িকা বলেন, ‘‘আমরা প্রথমে তাবাকোশি নামে একটি জায়গায় এসেছিলাম। এটা একটু অফবিট এলাকা। সেখান থেকে যাই টুংলু। টুংলু ঘুরে আমরা এখন যাচ্ছি ঘুম।’’ আজ, অর্থাৎ মঙ্গলবার বিকেলেই কলকাতা ফিরবেন তাঁরা।
নির্বাচন নিয়ে পাহাড়ের মানুষ কী ভাবছেন, জানান ইমন। তাঁর কথায়, ‘‘আমি কথা বলে বুঝলাম, এখানকার মানুষের বক্তব্য, কোনও সরকার এসেই রাস্তাঘাট কিছু ঠিক করেনি। এখানকার প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ ভোট নিয়ে খুবে আগ্রহী বলে আমার মনে হয় না। গাড়ির চালকের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তিনিও বলছিলেন যে, যারাই আসছে, কেউই রাস্তাঘাট সারাচ্ছে না। যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই রয়েছে পরিস্থিতি।’’