প্রতিবাদী শিলাজিৎ।
সোমবার রাতে বিস্ফোরক গায়ক-অভিনেতা শিলাজিৎ মজুমদার। হঠাৎই তিনি সরব এক ‘দেবীজি’-র বিরুদ্ধে! গায়কের দাবি, ওই বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব বাংলায় বসে কাজ করছেন। আবার বাংলার শিল্পীদেরই কটূক্তি করছেন, ‘‘কলকাতার আর্টিস্টরা আনপ্রফেশনাল। বসে বসে পয়সা নেয়!’’ কে তিনি? জানতে আনন্দবাজার অনলাইন শিল্পীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল সোমবার রাতেই। শিলাজিৎ তাঁর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। তবে জানিয়েছেন, এক বাঙালি প্রযোজিকা এই স্পর্ধা দেখিয়েছেন। গায়ক-অভিনেতার দাবি, একাধিক বার তাঁর মুখ থেকে এই ধরনের কথা শুনেছেন তিনি। চুপচাপ হজম করার চেষ্টা করেছেন। বার বার শুনতে শুনতে তাঁর সহ্যের বাঁধ ভেঙেছে। তাই সরব প্রতিবাদী তিনি।
ঘটনার সূত্রপাত তিন মাস আগে। শিলাজিৎ কোনও একটি চরিত্রের জন্য ডাক পেয়েছিলেন। গিয়েছিলেন লুক টেস্ট দিতে। সেখানেই নাকি তাঁকে তাঁর সাইজের বড় পোশাক পরানো হয়। তিনি সে কথা জানালে সঙ্গে সঙ্গে প্রযোজিকা কটূক্তি করেন পোশাক কারিগরকে। গায়কের কথায়, ‘‘তখনই জানতে পারি, ডিজাইনারের কোনও দোষ নেই। ওই প্রযোজিকার হুকুম ছিল, একই পোশাক দুই শিল্পীকে পরাতে হবে। মাপে মিলুক বা না মিলুক! এ ভাবেই তিনি চুরি করেন। দুই মাপের পোশাক থাকা সত্ত্বেও তা ব্যবহার না করে। এবং তার জন্য ধার্য দ্বিগুণ অর্থ নেন।’’
শিল্পীর বক্তব্য, সে দিন তিনি চুপ করে শুনেছিলেন। কিন্তু হজম করতে কষ্ট হয়েছিল। শান্ত হয়ে ভেবেছিলেন, প্রযোজিকা তাঁর ভুল বুঝতে পারবেন। কিন্তু কোথায় কী? এই ধরনের কথা তিনি অনবরত বলেই চলেছেন। তাই শুধু প্রতিবাদ জানিয়েই থেমে যাননি শিলাজিৎ। ফেসবুকে খোলাখুলি হুমকিও দিয়েছেন, ‘সেদিন যখন এ ভাবে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে অপমান করেছিলেন, আপনাকে ক্ষমা করেছিলাম। আর না। আপনি এ বার মুম্বই যাওয়ার টিকিট কাটতে দিন আপনার প্রোডাকশনকে। কলকাতায় কাজ করবেন আর কলকাতার অপমান করবেন!’
সেই প্রযোজিকা শিলাজিতের সঙ্গে ফেসবুকে যুক্তও আছেন, জানিয়েছেন গায়ক। তাঁকে সমঝে দিতে তাই এই মাধ্যমকেই বেছে নিয়েছেন। তাঁর মতো এ রকম আরও অনেকেই আছেন বলে দাবি তাঁর। এই প্রতিবাদ তাঁদের উদ্দেশ্যেও। শিলাজিতের ক্ষোভ, বাংলায় বসে কাজ করবেন। বেশি অর্থ দিয়ে মুম্বই থেকে অভিনেতাদের আনাবেন। অথচ বাংলায় একই মানের শিল্পীদের ন্যায্য প্রাপ্য দেবেন না! এই অন্যায় আর বেশি দিন চলতে পারে না। এর শেষ হওয়া দরকার।