সপরিবার সিধু মুসেওয়ালা। ছবি: সংগৃহীত।
প্রয়াত পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালার মা অন্তঃসত্ত্বা। গত মাসের শেষ দিকে প্রকাশ্যে আসে এই খবর। ৫৫ বছর বয়সে মা হওয়ার খবরে শুরু হয় জোর চর্চা। সিধু বেঁচে থাকলে এখন তাঁর বয়স হত ৩০। বাবা বলকউর সিংহ এবং মা চরণ কউরের একমাত্র সন্তান ছিলেন সিধু। ২০২২ সালের ২৯ মে মানসা জেলায় ছ’জন দুষ্কৃতীর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিলেন পঞ্জাবি গায়ক। সন্তান হারিয়ে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন সিধুর মা-বাবা। জীবনে কাউকে একটা আঁকড়ে ধরে বাঁচতেই দ্বিতীয় বার বাবা-মা হওয়ার পরিকল্পনা করেছেন বলেই অনুমান ছিল অনেকের। তবে সম্প্রতি সিধুর বাবার সমাজমাধ্যম পোস্ট ঘিরে দানা বাঁধছে নতুন রহস্য। সত্যিই কি অন্তঃসত্ত্বা সিধুর মা?
সিধুর বাবা বলকউর তাঁর সমাজমাধ্যমের পাতায় লিখেছেন, ‘‘আমাদের পরিবারকে নিয়ে অনেক গুজব ছড়ানো হচ্ছে। কিন্তু সব সত্যি নয়। তবে আমি সিধুর অনুরাগীদের প্রতি কৃতজ্ঞ। কিন্তু যদি কোনও খবর দেওয়ার হয় পরিবারের তরফেই তা জানানো হবে।’’ তবে কাকার তরফে দাবি করা হয়েছিল, আইভিএফের সাহায্যেই গর্ভবতী হয়েছেন সিধুর মা। গত তিন-চার মাস ধরে বাড়ির বাইরে পর্যন্ত পা দেননি প্রয়াত গায়কের মা। তাই ঠিক কবে ভূমিষ্ঠ হবে মুসে ওয়ালদের বাড়ির নতুন অতিথি, সেই নিয়ে চলছে ধোঁয়াশা।
গায়কের মৃত্যুর পর ইমেলে হুমকি পেয়েছিলেন তাঁর বাবা বলকাউর। গ্যাংস্টারদের বিরুদ্ধে কিছু বললে প্রাণসংশয় হতে পারে তাঁর— সেই মর্মে হুমকি দিয়েছিল রাজস্থানের এক বাসিন্দা। সেই সময় নিরাপত্তা দেওয়া হয় তাঁর পরিবারকে। তবে মুসেওয়ালা হত্যাকাণ্ডের ছয় শ্যুটারকে পুলিশ গ্রেফতার করার পর তুলে নেওয়া হয় নিরাপত্তা। পঞ্জাবের গায়ক তথা কংগ্রেস নেতা সিধু মুসে ওয়ালার খুনে অভিযুক্ত সতীন্দর সিংহ ব্রার ওরফে গোল্ডি ব্রারকে সম্প্রতি ‘সন্ত্রাসবাদী’ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২২ সালের ২৯ মে পঞ্জাবে খুন হয়েছিলেন মুসে ওয়ালা। মুসে ওয়ালার হত্যার পরে গোল্ডি ফেসবুকে পোস্ট করে জানান, তাঁর দলের দুই সদস্যের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতেই তিনি খুনের পরিকল্পনা করেন। মামলার তদন্তের জেরে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাংয়ের সদস্য গোল্ডির বিরুদ্ধে গত বছর জুনে ইন্টারপোলে রেড কর্নার নোটিস জারির আবেদন জানিয়েছিল ভারত। তা মেনে নেয় ইন্টারপোল। তাঁকে ‘পলাতক অভিযুক্ত’ ঘোষণা করা হয়। এখনও ফেরার এই গোল্ডি।