Nusrat Jahan

‘টক’ মানুষদের পছন্দ নয়! লোকসভা নির্বাচনে টিকিট না পাওয়ায় ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট নুসরতের

অনেকেই অনুমান করেছিলেন, লোকসভা ভোটে এ বার নুসরত টিকিট না-ও পেতে পারেন। সেই অনুমান সত্যি হল রবিবার। তৃণমূলের প্রার্থিতালিকায় নাম নেই নুসরতের। নায়িকা কি অভিমান করেছেন?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৪ ১৯:১৮
Share:

নুসরত জাহান। ছবি: সংগৃহীত।

রবিবার ব্রিগেডের ‘জনগর্জন’ সভা থেকে লোকসভা ভোটের প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ৪২টি কেন্দ্রের প্রার্থিতালিকায় বেশ কিছু রদবদল হয়েছে। কিন্তু এই তালিকায় নাম নেই নুসরত জাহানের। বসিরহাট কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন তিনি। কিন্তু আসন্ন লোকসভা ভোটের তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা বলছে, ওই কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়বেন হাজি নুরুল ইসলাম। নুসরতকে টিকিট দেয়নি দল। নুসরতের লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে সন্দেশখালি গ্রাম। গত দু’মাসে রাজনৈতিক দলগুলির মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে যে জায়গা। সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে সরব হয়েছে শহর থেকে শহরতলি, গ্রাম, মফস্‌সল। এই ঘটনা নিয়ে যেখানে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি, সেখানে এমন দুঃসময়ে সন্দেশখালি এক বারের জন্যে পাশে পায়নি তার সাংসদকে। অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালিতে না যাওয়া নিয়ে পরে সাফাইও দিয়েছিলেন নুসরত। কিন্তু সাফাই দিতে গিয়েও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। নুসরত ১৪৪ ধারাকে ১৭৪ ধারা বলেছিলেন। তার পর থেকেই নানা ট্রোলের মুখে পড়েন নুসরত। এত কাণ্ডের পর অনেকেরই অনুমান ছিল, লোকসভা ভোটে এ বার নুসরত টিকিট না-ও পেতে পারেন। সেই অনুমান সত্যি হল রবিবার।

Advertisement

দ্বিতীয় বার সাংসদ পদের জন্য লড়তে চান, তেমন কোনও ইচ্ছার কথা গত কয়েক মাসে নুসরতের মুখ থেকে শোনা যায়নি। আবার তিনি যে তা চান না, সে বিষয়েও স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। কিন্তু, লোকসভা ভোটের প্রার্থিতালিকা প্রকাশ হওয়ার পরের দিনই ইনস্টাগ্রামে একটি ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করলেন নুসরত। পোস্ট করা ছবিতে দেখা গেল, উদাস ভঙ্গিতে বসে রয়েছেন নায়িকা। সামনের টেবিলে রাখা নানা ধরনের খাবার, পানীয়, ফ্রেঞ্চফ্রাই। একটি প্লেটে ‘সাওয়ারডো’। পাউরুটি, লেটুস এবং অন্যান্য উপাদান দিয়ে তৈরি টক স্বাদের এক বিশেষ পদ। ছবির নীচে নুসরত যা লিখেছেন, তার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ‘‘ আমি ‘টক’ মানুষের চেয়ে ‘সাওয়ারডো’ বেশি পছন্দ করি।’’ ভোটের টিকিট না দেওয়ায় নুসরত কি খোঁচা দিলেন দলকে? নাকি পাঁচ বছরের বিদায়ী সাংসদের মনে একরাশ অভিমান জমা হয়েছে? উঠছে প্রশ্ন। তবে এ সবের উত্তর অবশ্য একমাত্র দিতে পারেন নুসরতই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement