সিধু সব পরিবারের ছেলে
গায়ক সিধু মুসে ওয়ালা হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নয়া মোড়। শুক্রবার পঞ্জাব পুলিশ মানসা আদালতে একটি চার্জশিট দাখিল করেছে। হাজতে থাকা গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইকে অপরাধের মূলচক্রী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে তাতে।১৮৫০ পাতার চার্জশিটে ৩৬ জনের নাম রয়েছে। পাশাপাশি লরেন্স এবং যজ্ঞু ভগবানপুরিয়া, মনমোহন মোহনা, দীপক টিনু, সন্দীপ কেকদা, অঙ্কিত সিরসা, প্রিয়ব্রত ফৌজি, শচীন ভিওয়ানি, কেশব, কাশিশ, মনপ্রীত মনু-সহ আরও বেশ কয়েক জনের নাম রয়েছে সেই তালিকায়।বর্তমানে ভগবানপুরিয়াও পঞ্জাব পুলিশের হেফাজতে। বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর গ্যাংস্টার মোকাবিলা শাখার প্রধান প্রমোদ বান জানিয়েছেন, তাঁরা হত্যাকাণ্ডের সমাধান প্রায় করে ফেলেছেন।
প্রমোদ জানান, লরেন্সই মূল ষড়যন্ত্রকারী। তিনি আরও জানান, সিধুকে হত্যার ছক যে গত বছরের অগস্টেই সেরে ফেলেছিল লরেন্স, সে কথাও স্বীকার করেছে। সে বছরই ৩০ মে, যুব আকালি দল নেতা ভিকি মিদ্দুখেরাকে হত্যা করা হয়েছিল। তার প্রতিশোধ নিতেই সিধুকে খুন করা হয়, জেরার মুখে এমনটাই জানিয়েছে গ্যাংস্টাররা। সিধু হত্যার দায় স্বীকার করে নিয়েছে কানাডার নাগরিক গোল্ডি ব্রার, যে কিনা লরেন্সের দলেরই সদস্য।
প্রমোদ বলেন, “শ্যুটাররা ২৫ মে পৌঁছে গিয়েছিল মানসায়। খুঁজে নিয়েছিল সিধুর গ্রাম। পঞ্জাবে পৌঁছনোর পর তাদের কিছু অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছিল। হত্যায় একে সিরিজের অ্যাসল্ট রাইফেল ব্যবহার করা হয়েছিল।”
বৃহস্পতিবার, মুসে ওয়ালাকে শ্রদ্ধা জানাতে মানসা শহরে একটি মোমবাতি মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমকে সিধুর বাবা বলকাউর সিংহ বলেছেন, “সিধুর মৃত্যুর পরে আমি জানতে পেরেছি... সে শুধু আমার ছেলে নয়, প্রতিটি পরিবারের ছেলে।”
তিনি আরও জানান, গোটা দেশ তাঁর ছেলেকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে। সবার চোখে জল দেখেছেন। সব শেষে ছলছল চোখে বলকাউর বলেন, “সিধুর বাবা হতে পেরে আমি গর্বিত।”